বৈদ্যুতিক গাড়ির নেতৃত্ব যাচ্ছে চীনের হাতে

বাংলাদেশ চিত্র ডেস্ক

বিশ্লেষকেরা বলেন, চীন বিশ্বের কোনো একটি শিল্প খাতে এককভাবে নেতৃত্ব দেওয়ার সুযোগ পেতে যাচ্ছে। সেই সঙ্গে পশ্চিমারা যে পরিবেশ রক্ষার কথা বলে, সেই ধারণার সঙ্গেও এই শিল্প সামঞ্জস্যপূর্ণ। পরিবেশগত বিষয় যে একেবারে চীনের বিবেচনায় নেই, তা নয়। তবে সেই সঙ্গে অর্থনৈতিক বিষয়ও আছে। কিন্তু মূল কথা হলো, চীনের কাছে এটি একটি ভূরাজনীতিগত বিষয়। এ খাতে কর্তৃত্ব করার মধ্য দিয়ে চীন বড় এক শিল্পে কর্তৃত্ব করার সুযোগ পেতে যাচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে। এতে তার বৈশ্বিক নেতৃত্বের অবস্থান আরও শক্তিশালী হবে।

নিজের বাজারের চাহিদা মিটিয়ে চীন বিশ্ববাজারে বৈদ্যুতিক গাড়ি রপ্তানি করছে। বিশেষ করে উন্নয়নশীল দেশগুলোতে এ ধরনের গাড়ি রপ্তানি বেশি করছে। ব্রাজিল ও ইন্দোনেশিয়ার মতো দেশে বৈদ্যুতিক গাড়ির স্থানীয় সরবরাহ ব্যবস্থা ও উৎপাদনের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে বিনিয়োগ করেছে চীন। গাড়ির শক্তির উৎস ব্যাটারি ও অন্যান্য কাঁচামাল প্রাপ্তিতে জোর দিচ্ছে তারা।

বৈদ্যুতিক গাড়ি শিল্পে নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষেত্রে চীনের এখন সবচেয়ে বড় বাধা যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপ। উভয় অঞ্চল নিজেদের উৎপাদিত বৈদ্যুতিক গাড়ির সুরক্ষা দিতে চীনের গাড়িতে শুল্কহার বৃদ্ধি করেছে। তাদের অভিযোগ, চীন এই বাজারের রাশ নিজের হাতে রাখতে অন্যায্যভাবে নানা প্রণোদনা দিচ্ছে। চীনের তৈরি বৈদ্যুতিক গাড়িতে যুক্তরাষ্ট্র একসময় ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করত। সম্প্রতি সেই শুল্ক ১০০ শতাংশে উন্নীত করা হয়েছে। স্পষ্টত, চীনের গাড়িশিল্পকে পঙ্গু করে দিতেই তাদের এই শুল্ক বৃদ্ধির পদক্ষেপ। চীনে তৈরি লিথিয়াম ব্যাটারিতে শুল্কহার ৭ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২৫ শতাংশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এ ছাড়া এই শিল্পে প্রয়োজনীয় খনিজ উপাদানের ওপর শুল্ক শূন্য শতাংশ থেকে ২৫ শতাংশ এবং সৌর প্যানেলে শুল্ক ২৫ থেকে ৫০ শতাংশ ও সেমিকন্ডাক্টরে শুল্ক ২৫ থেকে ৫০ শতাংশে বাড়ানো হয়েছে।

Share This Article