বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুই শহিদ ও আহতদের জন্য মানারাত ইউনিভার্সটিতে দোয়া মাহফিল


সহ বার্তা সম্পাদক প্রকাশের সময় : আগস্ট ২৮, ২০২৪, ১১:৩৯ অপরাহ্ণ /
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুই শহিদ ও আহতদের জন্য মানারাত ইউনিভার্সটিতে দোয়া মাহফিল
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুই শহিদ ও আহতদের জন্য মানারাত ইউনিভার্সটিতে দোয়া মাহফিল

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুই শহিদ ও আহতদের জন্য মানারাত ইউনিভার্সটিতে দোয়া মাহফিল

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির দুই ছাত্র শহিদ শাকিল হোসেন ও আহনাফ আবির আব্দুল্লাহ’র রুহের মাগফেরাত এবং আহতদের সুস্থতা কামনায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২৭ আগস্ট (মঙ্গলবার) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের আশুলিয়া ক্যাম্পাসের সেমিনার হলে এ দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার ক্লাব এ দোয়া মাহফিল আয়োজন করে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভারাপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আব্দুর রব প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। এতে আন্দোলনে শহিদ ও আহতদের পরিবারের সদস্যসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

প্রধান অতিথির বক্তৃতায় ড. মোহাম্মদ আব্দুর রব বলেন, সাধারণত পড়াশোনায় প্রথম হওয়া ছাত্রটিই পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হতো। কিন্তু তাদেরকে বাদ দিয়ে দলীয় ক্যাডারদের ওই সব জায়গায় বসিয়ে স্বৈরাচারী সরকার দেশকে মেধাশূণ্য ও পরাধীনতার চাদরে আবৃত করতে চেয়েছিল। সেই পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙ্গে দেশকে স্বাধীন করতে যারা জীবন উৎসর্গ করেছেন আমরা তাদেরকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি।

যারা কিছুদিন আগেও এদেশের মুক্তিকামী, সত্য ও কল্যাণপন্থী মানুষের ওপর নিপিড়ন-নির্যাতন চালাতো তারা এখন রঙ বদলে ছাত্র-জনতার অর্জনকে নস্যাৎ করতে নানাভাবে যড়যন্ত্র করছে অভিযোগ করে তিনি হিংসা-বিদ্বেষ ভুলে সে সব ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ থাকারও আহবান জানান।

তিনি বলেন, ছাত্রদের হারিয়ে আমাদের হৃদয়ের রক্ত ক্ষরণ এখনও কাটেনি । অথচ কিছু চাটুকার এমনভাবে কথা বলছেন, বিপ্লবের তারাই যেন ধারক-বাহক ছিল। এ সব বর্ণচোরাদের চিহ্নিত করে তাদের থেকে সাবধান থাকতে হবে ছাত্র-জনতাকে।

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির দুই শহিদ শাকিল হোসেন ও আহনাফ-সহ সকল শহিদদের কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, তাদের স্বপ্ন ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার সুন্দর পরিবেশ নিশ্চিত করা। তাদের আশা-আকাঙ্খার প্রতিফলন ঘটিয়ে মানারাত ইউনিভার্সিটিকে একটি মডেল ইউনিভার্সিটি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে পারলে তবেই তাদের জীবন দান স্বার্থক হবে।

তিনি ক্যাম্পাসে পড়াশোনার পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে ছাত্র-ছাত্রীদের সুশৃঙ্খল হওয়ার পাশাপাশি গুরুজন ও শিক্ষকদের সম্মান করা এবং একই সঙ্গে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ারও আহবান জানান এ সময়।

আইন বিভাগের ছাত্র কে. এম. আবু তাহেরের উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানে অন্যদের মাঝে বক্তৃতা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম, স্কুল অব বিজনেস অ্যান্ড ইকোনোমিকসের ডিন ও ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের প্রধান মো. মাহবুব আলম, স্কুল অব আর্টস অ্যান্ড হিউম্যানিটিসের ডিন ড. আবু আইয়ুব মো. ইব্রাহিম, আইন বিভাগের প্রধান মোহাম্মদ আজহারুল ইসলাম, সিএসই বিভাগের প্রধান রফিকুল ইসলাম, ইইই বিভাগের প্রধান কে. এম. আক্তারুজ্জামান, ইংরেজি বিভাগের প্রধান তাসমিয়া মোসলেহ উদ্দীন, ফার্মেসি বিভাগের প্রধান মো. রাকিব আল মামুন, জার্নালিজম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের প্রধান রফিকুজ্জামান, সিজিইডির সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ, শহিদ শাকিল হোসেন এর বাবা বেলায়েত হোসেন, শহিদ আহনাফ আব্দুল্লাহ আবিরের দুলা ভাই মাহমুদুল হাসান, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে চোখে গুলিবিদ্ধ ছাত্র রাহাত, রিদম ব্লাড ব্যাংকের প্রাধন আব্দুল্লাহ আল মামুন প্রমুখ।

এছাড়া বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহিদ ছাত্র-জনতার মাগফেরাত ও আহতদের সুস্থতা কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করেন ইসলামিক স্টাডিজের বিভাগের প্রধান ড. মোহাম্মদ রুহুল আমীন।