ব্যক্তিগত বিরোধের জেরে প্রান নাশের হুমকি, থানায় জিডি

বাংলাদেশ চিত্র ডেস্ক

নিউজ ডেস্ক: মানবিক ও সামাজিক সংগঠন প্রতিবাদী কন্ঠের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার নরোত্তমপুর ইউনিয়নের সন্তান হাজী মোহাম্মদ আজিম মিঞার বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচার সহ প্রান নাশের হুমকির অভিযোগ পাওয়া গেছে। 

হাজী মোহাম্মদ আজিম মিঞা বলেন, চকবাজারের চুড়িহাট্টায় সোনাইমুড়ী মানব কল্যান ফাউন্ডেশনের গঠনতন্ত্র বহির্ভূত অনিয়ম, যৌথ ব্যাংক হিসাব ও নির্বাচিত কমিটি ছাড়া এবং আজীবন সদস্যদের অবমূল্যায়ন, মিথ্যা জাল-জালিয়াতি করে সাত জনের স্থায়ী কমিটি তথা মালিকানা দাবী করে টাকা পয়সা কুক্ষিগত করার প্রতিবাদে ভুক্তভোগী আজীবন সদস্যরা সংবাদ সম্মেলন করে। এইসব বিষয়ে কথা বলতে যাওয়ায় আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে এইসব চালিয়ে যাচ্ছে।

সোনাইমুড়ী উপজেলার সন্তান এম এ রহিম। যারা আমার বিরুদ্ধে কাজ করছে ও আমি একই সংগঠন সোনাইমুড়ি মানব কল্যাণ ফাউন্ডেশন এর আজীবন সসদ্য। তার সাথে সংগঠনের নীতিমালা বহিভূত কার্যক্রমের প্রতিবাদ ও বিরোধীতা করায় আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হেনস্তা সহ প্রতিপন্ন সরুপ সংবাদ প্রচার করে এবং আমার আত্মীয় স্বজনের কাছে বিভিন্ন অপপ্রচার করতে থাকে। তারা সংগঠনে রাতের অন্ধকারে কাউকে না জানিয়ে ৫-৭ জন মিলে এই কমিটি চূড়ান্ত করে। তাই এই কমিটির কোন আজীবন সদস্য মেনে নেয় নি। সোশ্যাল মিডিয়া লেখালেখি করে অনেকে প্রতিবাদ করেছেন এবং কয়েকটি প্রোগ্রাম করে তার নিন্দা জানিয়েছেন আজীবন সদস্যবৃন্দরা। এমনকি ২৭ জন উপদেষ্টা মন্ডলির মধ্যে ২৫ জন এবং ২০০ জন সদস্যদের মধ্যে ১৪০ জন সংগঠনের এই বিতর্কিত কমিটির বিরোধিতা করেন।

তিনি আরো জানান, এক অসহায় পরিবারের মাঝে প্রতিবাদী কন্ঠের উদ্দ্যেগে অনুদান দেওয়াকে কেন্দ্র করে এম এ রহিম সহ আরো কয়েক জন আমার বিরুদ্ধে নানা ধরনের অপপ্রচার করতে থাকে। প্রতিবাদী কন্ঠের সহযোগিতায় অনুদান দেওয়া হলেও এম এ রহিম ও সভাপতি আবুল খায়ের অসহায় পরিবারকে ভিডিওর মাধ্যমে অনুদান দেয় নাই বলে অপপ্রচার চালায়। এক পর্যায়ে সেটি মিথ্যা প্রমানিতও হয়।

এইছাড়াও আমি ব্যক্তিগত ভাবে তার থেকে ৬০ হাজার টাকা পাওনা আছি। পাওনা টাকা চাওয়ায় বারবার আমার উপর আক্রমণ করতে থাকে এবং সবসময় চড়াও ভাবে কথা বলে। তখন থেকেই মুলত বিরোধের সুত্রপাত হয়। 

আমার নামে ফেসবুকে অপপ্রচার চালানোর জন্য ফেইক আইডি খুলে মিথ্যা রটানো শুরু করে। তাদের এইসব নয় ছয় করাতে তাদের বিপক্ষে কথা বলতে থাকি। এইসব মিলিয়ে সংগঠনের অন্যান্য সদস্যরা সমঝোতা করার জন্য আপ্রান চেষ্টা চালায়। কিন্তু তারা তাদের কথার তোয়াক্কা না করে বিভিন্ন ভাবে হেয় প্রতিপন্ন সহ মান ক্ষুন্ন করার পায়তারা চালিয়ে যাচ্ছে আমার বিরুদ্ধে।  

গত ৩ অক্টোবর রাত সাড়ে এগারো টার সময় হঠাৎ এম এ  রহিম সহ আবুল খায়ের ভূঁইয়া, মোহাম্মদ ফারুক, দাউদ এ জামান অজ্ঞাতনামা আরো ২০/২৫ জন আমার বাসা এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আসে। তখন তারা আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। এক সময় এম এ রহিম আমাকে মারার জন্য এগিয়ে আসলে আমি প্রানের ভয়ে স্থান ত্যাগ করি। পরবর্তীতে তারা আমার বাসায় লোকজন দিয়ে নিয়মিত বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি সহ প্রান নাশের হুমকি দিয়ে আসছে। এমন কি যত টাকা লাগে আমাকে দেখিয়ে নেওয়ার হুমকিও দেয়।

সোনাইমুড়ী মানব কল্যান ফাউন্ডেশনের সভাপতি আবুল খায়ের থেকে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে পরে কথা বলবেন এবং ব্যাস্ত আছেন বলে ফোন রেখে দেন।

এই বিষয়ে ঢাকার চক বাজার মডেল থানায় হাজী মোহাম্মদ আজিম মিঞা বাদী হয়ে একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।  তিনি প্রসাশনের কাছে সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন।

Share This Article