
ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েছে। ডায়রিয়া ওয়ার্ডের মাত্র ২০টি বেডের বিপরীতে বর্তমানে চিকিৎসা নিচ্ছেন ৮৩ জন রোগী। ফলে বেড সংকট চরমে পৌঁছেছে। অনেক রোগীকে করিডোর, বেডের পাশ ও ফ্লোরে গাদাগাদি করে থাকতে হচ্ছে। ডায়রিয়া বিভাগে দুইজন কনসালটেন্টসহ শিশুরোগ ও মেডিসিন বিভাগের মোট ৮ জন চিকিৎসক দিন-রাত চাপের মধ্যে থেকে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন।
শীতের তীব্রতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন চিকিৎসকরা। এতে বিভাগের ওপর চাপ আরও বাড়বে বলেও জানিয়েছেন তারা।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, অধিকাংশ প্রয়োজনীয় গুরুত্বপূর্ণ ওষুধ- হাসপাতালে না থাকাই বাহির থেকে কিনতে হওয়ায় নিম্ন আয়ের রোগীদের অতিরিক্ত ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে।
এদিকে বেড সংকটের চাপ সামলাতে চিকিৎসক ও নার্সদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। এছাড়া প্রতিদিন মাত্র ২০ জন রোগী হাসপাতালের খাবার পেলেও অধিকাংশ রোগীকে থাকতে হচ্ছে সহযোগিতার অপেক্ষায়।
শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. আকতার হোসাইন বলেন, শিশু ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা অনেক বেশি। চাপ সামাল দেওয়া কঠিন হয়ে যাচ্ছে। তারপরও আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. রতন কুমার ঢালী বলেন, ওষুধের সাপ্লাই পর্যাপ্ত রয়েছে। তবে কিছু আইটেমের ঘাটতি আছে, যেগুলো রোগীদের বাইরে থেকে কিনতে হচ্ছে। শীত বাড়ার সঙ্গে রোগীর সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। রোগীর চাপ সামলাতে আমরা আরো প্রস্তুতি নিচ্ছি।