বাংলাদেশে শুক্রবার সকালে যে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে তার কেন্দ্র ছিল নরসিংদী জেলার মাধবদী এলাকায়। আবহাওয়াবিদরা বলছেন, রিখটার স্কেলে পাঁচ দশমিক সাত মাত্রার এই ভূমিকম্প গত কয়েক দশকে দেশের ভেতরে উৎপত্তি হওয়া সবচেয়ে শক্তিশালী ছিল।
এর আগে সিলেট, নোয়াখালী অঞ্চলে ভূমিকম্পের উৎপত্তি হয়েছে। তবে ভূমিকম্পের কেন্দ্র ঢাকার আরো কাছে নরসিংদীতে। ভূমিকম্প নিয়ে গবেষণা করেন এমন অনেকে বলছেন, এর আগে ঢাকার এত কাছে এই মাত্রার ভূমিকম্প উৎপত্তি হওয়ার ঘটনা ঘটেনি।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের পূরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ও ভূমিকম্প গবেষক মেহেদি আহমেদ আনসারী বলছেন, বাংলাদেশের মধ্যে টেকটোনিক প্লেটের যে পাঁচটি সোর্স আছে তার মধ্যে নোয়াখালী থেকে শুরু করে কক্সবাজার, নোয়াখালী থেকে সিলেট এবং আরেকটি সিলেট থেকে ভারতের দিকে চলে গেছে।
নোয়াখালী থেকে সিলেট, এই অংশে যে বড় ফাটল রয়েছে তারই একটি ছোট অংশ নরসিংদী, এর ফলে নরসিংদী এলাকায় ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল হওয়া অস্বাভাবিক নয় বলেও মনে করেন তিনি।
এর আগে শুক্রবার সকাল ১০টা ৩৮ মিনিটে এ ভূমিকম্প অনুভূত হয়। এর উৎপত্তিস্থল নরসিংদীর ঘোড়াশাল থেকে ৭ কিলোমিটার দূরে বলে জানা গেছে। ভূমিকম্পটি কয়েক সেকেন্ড স্থায়ী ছিল। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিস) বলছে, রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পটির তীব্রতা ছিল ৫ দশমিক ৫। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতেও এই ভূমিকম্প অনুভূত হয়। এনডিটিভির খবরে বলা হয়, ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতাসহ আশপাশের এলাকায় ভূমিকম্প অনুভূত হয়।
ভূমিকম্পে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও নরসিংদীতে এ পর্যন্ত ছয়জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া আহত হয়েছেন প্রায় এক শ জনের বেশি। নিহতদের মধ্যে ঢাকার আরমানিটোলায় তিনজন, নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে একজন এবং নরসিংদী সদরে একজন ও পলাশে একজন মারা গেছেন।
বিবিসি বাংলার প্রতিবেদন
