শক্তিশালী ভূমিকম্পের প্রভাবে দেশের সাতটি বিদ্যুৎকেন্দ্র ও একটি গ্রিড সাবস্টেশন স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ হয়ে গেছে। তবে বিদ্যুতের চাহিদা তুলনামূলকভাবে কম থাকায় জাতীয় গ্রিডে বড় ধরনের কোনো বিপর্যয় ঘটেনি। বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি) ও পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ (পিজিসিবি) সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
বিপিডিবি সূত্রে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, ভূমিকম্পের পর শুক্রবার (২১ নভেম্বর) বেলা ১১টা ৫০ মিনিট পর্যন্ত যেসব বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধের খবর মিলেছে- সামিট গ্রুপের বিবিয়ানা ৩৪১ মেগাওয়াট কেন্দ্র, বিপিডিবির বিবিয়ানা-৩ (৪০০ মেগাওয়াট) কেন্দ্র, আশুগঞ্জের ২২৫, ৫৫ ও ৫০ মেগাওয়াট ক্ষমতার তিনটি ইউনিট, চট্টগ্রামের এসএস পাওয়ার ৬০০ মেগাওয়াট কেন্দ্রের একটি ইউনিট, সিরাজগঞ্জের ২২৫ মেগাওয়াট কেন্দ্রের ৭৫ মেগাওয়াট ইউনিট।
এছাড়া ঘোড়াশালের গ্রিড সাবস্টেশনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ২৩০ কেভি, ১৩২ কেভি ও ৩৩ কেভি লাইন বন্ধ হয়ে গেছে।
বিপিডিবির পরিচালক (জনসংযোগ) শামীম হাসান জানান, ভূমিকম্পজনিত কারণে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিদ্যুৎ উৎপাদন ও সরবরাহ ব্যবস্থায় সাময়িক বিঘ্ন ঘটেছে। তিনি জানান, উৎপাদন ও সরবরাহ স্বাভাবিক করতে কাজ চলছে।
বিপিডিবির কর্মকর্তারা জানান, আরও কিছু কেন্দ্র বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে এবং বন্ধ হওয়া কেন্দ্রগুলো পুনরায় চালু করতে কিছু সময় লাগবে। তবে বিদ্যুতের চাহিদা কম থাকায় লোডশেডিংয়ের তেমন কোনো সম্ভাবনা নেই বলে তারা জানান।
