মোঃ ফাহিম আল হাসান, গবি প্রতিনিধি:
গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের (গবি) ভেটেরিনারি অ্যান্ড এনিমেল সায়েন্সেস অনুষদের ১২ তম ব্যাচের শিক্ষার্থীদের অ্যাকোয়াটিক এন্ড পোল্ট্রি নিউট্রিশন ব্যবহারিক ক্লাসের উপর ফিডমিল ইন্ড্রাসট্রিয়াল ট্যুর সম্পূর্ণ হয়েছে
শনিবার(১৬সেপ্টেম্বর) অ্যানিমেল প্রোডাকশন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান লেকচারার ডা.রোকনুজ্জামান এর তত্বাবধানে গাজীপুর সদরের হাজী ফিডমিলে এ ট্যুর সম্পন্ন হয়।
এ সময় ডা. মোঃ রোকনুজ্জামান বলেন, যে জিনিসগুলো অ্যাকোয়াটিক এন্ড পোল্ট্রি নিউট্রিশনে তাত্ত্বিকভাবে শিখি তার বাস্তব প্রয়োগ দেখার জন্য আমাদের এই ব্যবহারিক ভ্রমণের আয়োজন। এখানে কিভাবে ফিড বানাতে হয়, কি কি ধরনের ফিড পাওয়া যায়, কাঁচামাল কিভাবে প্রয়োগ করা হয় সবগুলো বিষয়ের উপর সম্মুখ জ্ঞান অর্জন হয়েছে । এভাবে আমরা ভালো গ্রাজুয়েট তৈরি করতে পারব। যাদের শুধু তাত্ত্বিক জ্ঞান থাকবে না বরং ব্যবহারিক জ্ঞানও থাকবে এবং দক্ষতা বৃদ্ধি পাবে।
তিনি আরও বলেন, ভবিষ্যতে পরিকল্পনা আছে বাংলাদেশের প্রথম শ্রেণীর ফিড মিলগুলো ভিজিট করা এবং বিদেশি যে কোম্পানিগুলো আছে তাদেরকে আমাদের ফ্যাকাল্টিতে দাওয়াত দিয়ে একটা ভালো সম্পর্ক তৈরি করা। এতে আমাদের গ্রাজুয়েটদের জ্ঞান অর্জন হবে এবং চাকুরী ক্ষেত্রে তারা এগিয়ে যাবে।
অনুষদের শিক্ষার্থী হাফিজউল্লাহ( হৃদয়) বলেন,আজকের দিনটি ছিল আমার কাছে একটি স্মরণীয় দিন। কারন আমার বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের এই প্রথম আমাদের ব্যাচ হতে ফিড মিল ভেজিটে যাই, যার ফলে আমার পুস্তক থেকে অর্জিত জ্ঞান কে মাঠ পর্যায়ের সঙ্গে মিলিয়ে নেওয়া এবং ফিড মিলের সঙ্গে সংযোগের অংশ হিসাবে মাঠ পরিদর্শন বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে। যার জন্য ধন্যবাদ জানাই আমার অনুষদ এর শ্রদ্ধেয় শিক্ষক ডা:মো:রোকনুজ্জামান স্যার সহ আমার ব্যাচমেটদের যাদের ফলে ফিডমিল ভিজিট সফলভাবে অতিবাহিত করতে পেরেছি।
অপর এক শিক্ষার্থী জান্নাতুন আদন প্রমি বলেন, আজকের দিনটি আমার শিক্ষাগত জীবনের স্বরণীয় একটি দিন। ভেটেরিনারি পেশায় ফিড মিল বা পশু খাদ্য তৈরি কারখানা এবং পশু খাদ্য তৈরির প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানা খুবই জরুরী। স্যার আজকে আমাদের ফিডমিল পরিদর্শন করান, যেখান থেকে আমি পশুখাদ্য তৈরির সকল প্রক্রিয়াগুলো এবং পশুখাদ্য তৈরিতে ব্যবহৃত উন্নতমানের সকল যন্ত্রপাতি সম্পর্কে সমগ্র ধারণা অর্জন করি।ধন্যবাদ আমার শ্রদ্ধেয় শিক্ষক ডাঃ মোঃ রোকনুজ্জামান স্যারকে এতো বড় একটা সুযোগ করে দেওয়ার জন্য।আশা করি ভবিষ্যতে এ ধরণের আরও সুযোগ পাবো এবং নিজেকে সঠিকভাবে গড়ে তুলতে পারবো।
নাজমুল সুজন বিশ্বাস/শার্শা(যশোর)