ভৈরব মেঘনা নদীতে চলন্ত ট্রেন থেকে পড়ে যুবক নিখোঁজ

বাংলাদেশ চিত্র ডেস্ক

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে শহীদ হাবিলদার আব্দুল হালিম রেলওয়ে সেতুতে চলন্ত ট্রেন থেকে পড়ে সোহেল তানভীর (২১) নামে এক মালয়েশিয়াগামী যুবক নিখোঁজ হয়েছে।

শুক্রবার (৩১ মে) বিকাল সাড়ে ৫টায় ঢাকা থেকে নোয়াখালী গামী উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেন ভৈরর রেলস্টেশনে যাত্রাবিরতি দিয়ে ছাড়ার পর মেঘনা নদীর উপর রেলসেতু অতিক্রমকালে ট্রেনের দরজা থেকে হঠাৎ পড়ে এ ঘটনা ঘটে।নিখোঁজ যুবক তানভীর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলার দেবগ্রামের মেরাজ মিয়ার ছেলে।

খবর পেয়ে নৌপুলিশ,রেলওয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরীদল নিখোঁজ তানভীর কে খোঁজতে তল্লাসী চালিয়ে যাচ্ছে।

ভৈরব নৌ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো.মনিরুজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন,নিখোঁজ তানভীর আজ ভোর ৪টায় মালয়েশিয়ার উদ্দেশ্য যাওয়ার ফ্লাইট ছিল।অনিবার্য কারণে ফ্লাইটটি মিস হয়।বাবার সঙ্গে গত বৃহস্পতিবার ঢাকায় এসে ছিল তানভীর।আগামী ৭ জুন আবারো মালয়েশিয়া যাওয়া তারিখ জানান দালাল পক্ষ।তাই বাবার সঙ্গে বিকাল
৩ টায় উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনে চ বগিতে বাবার পিছনের সিটে বসে বাড়ি ফিরছিলো।ভৈরব অতিক্রম করতেই মেঘনা রেলব্রীজ অতিক্রম করার সময় বাবা জানতে পারেন তার ছেলে গাড়ি থেকে পড়ে গিয়েছে।

এ বিষয়ে নিখোঁজের স্বজন আব্দুল কাইয়ুম জানান,পরিবারে ছোট ছেলে তানভীর।বাবা মেরাজ মিয়া ১ জন মুদি দোকানী।পরিবারে তানভীরের একজন বড় বোন রয়েছে।অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত লেখা পড়া করেছে তানভীর।লেখা পড়ায় অমনোযোগী হওয়ায় বাবার সঙ্গে মুদি দোকান চালাতো।স্বপ্ন ছিল প্রবাসে যাবে।তাই আজ তার মালয়েশিয়া ফ্লাইট ছিল।কিন্তু যেতে পারেনি।আমরা একই গাড়িতে করে বাড়ি যাচ্ছিলাম।গাড়িতে অনেক গরম ছিল।সে সিট ছেড়ে বাতাস পেতে ট্রেনের দরজার পাশে বসেছিল।অনেক ভিড় ছিল গাড়িটিতে।হঠাৎ একজন যাত্রী বললো তানভীর অসাবধানতায় হঠাৎ মেঘনা নদীতে পড়ে যায়।পড়ার সময় ব্রীজ এর রড এর সাথে ধাক্কা খেয়ে মাথায় আঘাত পেয়ে পড়েছে।

স্থানীয় এবং পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস ডুবুরীদল নিখোঁজ তানভীরকে খোঁজার কাজ রাত্র অন্ধকার হওয়া স্থগিত করছেন।
পুনরায় (১জুন) সকাল থেকে উদ্ধার অভিযান শুরু হয়ে অব্যাহত রয়েছেন।এ রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত এখনো মিলেনি নিখোঁজ তানভীরের লাশ।

এ বিষয়ে নিখোঁজের বাবা মেরাজ মিয়া চিৎকার করতে করতে বলেন, আমার পিছনের সিটে বসা ছিল তানভীর।আমি বুঝতেই পারিনি ছেলেটা কিভাবে দরজার পাশে গেল কিভাবে পড়ে গেল। আমি কি জবাব দেবো তার মা ও বোনের কাছে।ছেলের স্বপ্ন ছিল বিদেশ যাবে।আজ আমার ছেলেই হারিয়ে গেল।

এ বিষয়ে নৌ থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মনিরুজ্জামান জানান,খবর পেয়ে আমরা এসেছি।মেঘনা নদীতে অনেক স্রোত। মরদেহ খোঁজাখোজি চালিয়ে যাচ্চে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরীদল।

Share This Article