ভোগান্তির আরেক নাম পাইকগাছার সোলাদানা খেয়াঘাটঃ যুগযুগ ধরে অবহেলিত!

বাংলাদেশ চিত্র ডেস্ক

খুলনার পাইকগাছায় সোলাদানা খেয়া ও ট্রলার ঘাটের বেহাল অবস্থা! প্রতিবছর সরকার লাখ লাখ টাকা রাজস্ব আদায় করলেও সরকারীভাবে ঘাট তৈরীর কোন ব্যবস্থা নেয়নি। ফলে যুগযুগ ধরে চরম ভোগান্তিতে পারা- পার করছে ৩ ইউনিয়নের বাসিন্দারা। যাকে এককথায় বলা হয় ভোগান্তির অপর নাম সোলাদানা খেয়াঘাট!

উপজেলার সোলাদানা বাজারস্থ শিবসা নদীর কুলে অবস্থিত সোলাদানা খেয়া ও ট্রলার ঘাট। অত্যান্ত ব্যস্ততম এ ঘাট দিয়ে প্রতিদিন অসংখ্য মটর সাইকেলসহ পারাপার করে ৬ থেকে ৭ হাজার লোক। লতা, দেলুটি ও সোলাদানা ইউনিয়নের লোকজন সহ শত শত পথচারীরা পারাপার হয় এই ঘাটটিতে। স্বল্প সময়ে খুলনা শহরে যাতায়ত করতে অনেকেই এ ঘাট পার হয়।

জানা যায়, ৮-৯ যুগ আগে এঘাটটি ট্রলার ঘাট হিসেবে ব্যবহার হতো। পরে খেয়াঘাট যুক্ত হয়। কাঁদা পানি ভেঙ্গে যাত্রী সাধারণদের পারাপার হতে পড়তে হয় চরম ভোগান্তিতে। প্রতিবছর এজারা দিয়ে সরকার লাখ লাখ টাকা রাজস্ব আদায় করছে এই ঘাটটি থেকে।

এজারাদার শহিদুল গাজী জানান ২০২৪ সালে ১বছরের জন্য সরকারকে ৯ লাখ টাকা রাজস্ব দিয়ে এজারা পেয়েছে তিনি। তবে ঘূর্ণিঝড় রিমেলের তাণ্ডবে ঘাঁটি সহ ঘাট থেকে সোলাদানা বাজার পর্যন্ত ঘাটের রাস্তাটির বেহাল দশা হয়ে গেছে। যা চলাচলের জন্য একদম অযোগ্য হয়ে পড়েছে বর্তমানে। তিনি বলেন এবার আমার এজারার অর্ধেক টাকা উঠবে কিনা সন্দেহ আছে।

দেলুটি ইউনিয়নের সফিকুল ইসলাম ও লতা ইউনিয়নের মোঃ হানিফ বলেন, দেলুটি ও লতা পারাপারের ঘাট দুটি পাকা। কিন্ত সোলাদানা ঘাট যুগযুগ ধরে অবহেলিত। এ ঘাটটি পাকা করার উদ্যোগ নেয়নি কোন সরকার।

সোলাদানা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান এসএম এনামুল হক বলেন, ২০১২ সালে তিনি ব্যক্তিগত অর্থে নোকায় উঠা-নামার জন্য বাঁশের চরাটের সাকো বানিয়ে দেন। পরবর্তীতে মাটি দিয়ে রাস্তা তৈরী করে কিছু রাস্তা ইট বসিয়ে দেন। কিন্তু রেমালের আঘাতে তা লন্ডভন্ড হয়ে গেছে।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহেরা নাজনীন বলেন, নিঃসন্দেহে খেয়াঘাটটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমি এখানে যোগদান করেই সেটা উপলব্ধি করেছি।ইউনিয়ন পরিষদকে প্রকল্প দিতে বলেছি। সেটা পেলেই রাস্তাসহ ঘাটের কাজ শুরু করা হবে।

Share This Article