ইউরিয়া সারের ঘাটতি পূরণ, বৈদেশিক মুদ্রার সাশ্রয় এবং উপকূলীয় অঞ্চলে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে ভোলায় একটি সার কারখানা নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এ বিষয়ে সম্ভাব্যতা যাচাই করতে শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) ভোলা সফর করেছেন সরকারের তিন উপদেষ্টা।
সফরকারী উপদেষ্টাদের মধ্যে রয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, শিল্প, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দীন।
তারা ভোলা সদর উপজেলার ভেদুরিয়া ফেরিঘাট এলাকা, বাফার গোডাউন নির্মাণস্থল, বিসিক লিল্পনগরী ও শাহবাজপুর গ্যাসক্ষেত্র পরিদর্শন করেন। পরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে ‘ভোলা জেলায় অর্থনৈতিক উন্নয়ন’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় অংশ নেন।
শিল্প ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান সাংবাদিকদের বলেন, ভোলায় গ্যাস পাওয়া যাচ্ছে। দেশের অনেক জায়গায় গ্যাস পাওয়া যাচ্ছে না। এই গ্যাসকে কিভাবে আমরা দেশের কাজে লাগাতে পারি, গ্যাস থেকে সার প্রস্তুত করতে পারি, তার সম্ভাব্যতা দেখছি।
তিনি জানান, সারা দেশে ৩৪টি বাফার গোডাউন নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে, যার একটি ভোলায় নির্মাণাধীন। ২০২৭ সালের মধ্যে এই কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, ভোলার গ্যাস দিয়ে ভোলায় শিল্প কারখানা করা হবে। এখানে সার কারখানা হবে, বেসরকারি শিল্প কারখানা, অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলা হবে।
গবেষণা তথ্য অনুযায়ী, ভোলা জেলার গ্যাসক্ষেত্রগুলোতে ২.২৪ ট্রিলিয়ন কিউবিক ফুট গ্যাস মজুদ রয়েছে। সরকার বার্ষিক ৫.৬১ লাখ মেট্রিক টন উৎপাদন ক্ষমতার একটি ইউরিয়া সার কারখানা স্থাপনের পরিকল্পনা করছে, যার প্রাথমিক সম্ভাব্যতা যাচাই শেষ হয়েছে।
প্রস্তাবিত এই কারখানার জন্য প্রায় ৩০০ একর জমির প্রয়োজন হবে এবং প্রাথমিক ব্যয় ধরা হয়েছে ১৬ হাজার কোটি টাকা। কারখানাটি চালু হলে প্রতি বছর প্রায় ৯৫০ কোটি টাকা বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হবে।
