মওলানা ভাসানী কৃষক শ্রমিক ও জনসাধারনের অধিকার রক্ষায় সংগ্রাম করে গেছেন: এড মনা


বাংলাদেশ চিত্র ডেস্ক প্রকাশের সময় : নভেম্বর ১৭, ২০২৪, ১১:৪২ অপরাহ্ণ /
মওলানা ভাসানী কৃষক শ্রমিক ও জনসাধারনের অধিকার রক্ষায় সংগ্রাম করে গেছেন: এড মনা
মওলানা ভাসানী কৃষক শ্রমিক ও জনসাধারনের অধিকার রক্ষায় সংগ্রাম করে গেছেন: এড মনা

মওলানা ভাসানী কৃষক শ্রমিক ও জনসাধারনের অধিকার রক্ষায় সংগ্রাম করে গেছেন: এড মনা

স্টাফ রিপোর্টার
খুলনা মহানগর বিএনপির আহবায়ক এড. শফিকুল আলম মনা বলেছেন, মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী ‘মজলুম জননেতা’ হিসাবে সমধিক পরিচিত ছিলেন। তাঁর নেতৃত্বের ভিত্তি ছিল কৃষক শ্রমিক জনসাধারণ, যাদের অধিকার এবং স্বার্থ রক্ষার জন্য তিনি নিরবচ্ছিন্ন সংগ্রাম করে গেছেন। ১৮৮০ খ্রিষ্টাব্দের ১২ ডিসেম্বর সিরাজগঞ্জের ধানগড়া পল্লীতে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯১৯ খ্রিষ্টাব্দে ব্রিটিশ বিরোধী অসহযোগ ও খেলাফত আন্দোলনে যোগদানের মধ্যদিয়ে তাঁর রাজনৈতিক জীবনের সূচনা হয়। ১৯২৯ এ আসামের ধুবড়ী জেলার ব্রহ্মপুত্র নদের ভাসান চরে প্রথম কৃষক সম্মেলন আয়োজন করেন। এরপর থেকে তার নামের শেষে ‘ভাসানী’ শব্দ যুক্ত হয়।
রবিবার (১৭ নভেম্বর) বেলা ১১টায় মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৮তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে খুলনা মহানগর বিএনপি আয়োজিত দোয়া মাহফিল পুর্ব আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, ১৯৫৪ খ্রিষ্টাব্দের মার্চ মাসে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে আওয়ামী মুসলিম লীগের সভাপতি ভাসানীর নেতৃত্বে তখনকার পাঁচটি বিরোধী দল নিয়ে গঠিত যুক্তফ্রন্ট ২২৩ টি আসন লাভ করে। মওলানা ভাসানী সোহরাওয়ার্দীর সাথে মতবিরোধ এবং তাঁর বৈদেশিক নীতির প্রতিবাদে ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ) নামে একটি নতুন দল গঠন করেন। এবং দলের সভাপতিত্ব গ্রহণ করেন। মাওলানা ভাসানী ১৯৭২ খ্রিষ্টাব্দের ২২ জানুয়ারি ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তন করেন। ১৯৭২ এর ২৫ ফেব্রুয়ারি সাপ্তাহিক হক কথা প্রকাশ করেন। ১৯৭৬ এর ১৬ মে ফারাক্কা বাঁধ নির্মাণের প্রতিবাদে ঐতিহাসিক লং মার্চে নেতৃত্ব দেন। একই বছর ২ অক্টোবর খোদাই খিদমতগার নামে নতুন আর একটি সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেন। রাজনীতির পাশাপাশি তিনি সমাজ সংস্কারমূলক কর্মকান্ডে জড়িত ছিলেন। মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিনের পরিচালনায় আলোচনায় অংশগ্রহন করেন ও উপস্থিত ছিলেন, ফখরুল আলম, স.ম আ রহমান, বেগম রেহেনা ঈসা, অ্যাড. নুরুল হাসান রুবা, কাজী মাহমুদ আলী, আবুল কালাম জিয়া, বদরুল আনাম খান, শেখ সাদি, শেখ জাহিদুল ইসলাম, কাজী মিজানুর রহমান. সাজ্জাদ আহসান পরাগ, আবু সাইদ হাওলাদার আব্বাস, অ্যাড. মোহাম্মদ আলী বাবু, শেখ জামাল উদ্দিন, আফসার উদ্দিন, আলী আক্কাস, সাঈদ হাসান লাভলু, শেখ আবু সাইদ, শেখ মনিরুজ্জামান মনির, গাজী আফসার উদ্দীন, শেখ মোস্তফা কামাল, আজিজুর রহমান, শেখ মনিরুজ্জামান মনির, শেখ হাবিবুর রহমান, মোঃ মাহমুদ আলম মোড়ল, লিটন খান, এ্যাড. শেখ মোহাম্মদ আলী, লিয়াকাত হোসেন লাভলু, ইকবাল হোসেন মিজান, আহসান হাবিব বাবু, মোঃ কামরুজ্জামান রুনু, মোঃ আরিফুল ইসলাম বিপ্লব, মেশকাত আলী, মোঃ আমিন আহমেদ, মোঃ সওগাতুল আলম ছগীর, কাজী মোঃ মিজানুর রহমান, কে এম এ জলিল, ছাত্রদলের সৈয়দ ইমরান, স্বেচ্ছাসেবক দলের মুনতাসির আল মামুন, শফিকুল ইসলাম শাহিন, নাসির উদ্দিন, মহিলা দলের নাসরিন হক শ্রাবনী, সোনিয়া খান প্রমূখ। আলোচনা শেষে মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।