অনলাইন ডেস্ক:
চাঁদপুর জেলার মতলব দক্ষিণ উপজেলার মধ্য কলাদী গ্রামে জন্ম নেওয়া আশিক চৌধুরী শুভ্র এখন শুধু একটি নাম নয়, হয়ে উঠেছেন দেশের তরুণদের জন্য এক উজ্জ্বল অনুপ্রেরণা। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের হয়ে প্রতিনিধিত্বকারী এই প্রতিভাবান তরুণ ড. মুহাম্মদ ইউনুসের ব্যক্তিগত পছন্দে একটি বিশেষ পদে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়েছেন এবং মাত্র ৫ মাসেই বাংলাদেশে প্রায় ১৫০ মিলিয়ন ডলারের বিদেশি বিনিয়োগ আনতে সফল হয়েছেন।
শুভ্র’র পারিবারিক ইতিহাসও গৌরবময়। তার দাদা ছিলেন মরহুম ডাঃ আজিজ, যিনি তৎকালীন মতলব সরকারি হাসপাতালের পঃপঃ কর্মকর্তা ছিলেন। বাবা কমোডর হারুন অর রশিদ চৌধুরী বাংলাদেশ নৌবাহিনীর একজন গর্বিত সদস্য। তার মেজো চাচা ফারুক আহমেদ চৌধুরী বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একজন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এবং ছোট চাচা নাজমুল আহসান চৌধুরী খোকন ছিলেন ১৯৯০ সাল থেকে বাংলাদেশ টেলিভিশনের নিয়মিত শিল্পী। শুভ্র’র নানাবাড়ি মতলব উত্তর উপজেলার বদরপুর গ্রামের সিকদার বাড়ি।
শুভ্র ছিলেন এসএসসি ১৯৯৮ ব্যাচের শিক্ষার্থী এবং ছোটবেলা থেকে যশোরে বেড়ে ওঠেন। কিন্তু তাঁর জীবনযাত্রা ছড়িয়ে পড়েছে দেশ ছাড়িয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়েও।
গত বছরের ৬ নভেম্বর এক ফেসবুক পোস্টে তিনি উল্লেখ করেন, “দিনে প্রায় ১৮ ঘণ্টা কাজ করছি। ব্যবসায়ী, সিইওদের সঙ্গে আলোচনা করছি, সবকিছু বুঝে নতুন ইনভেস্টমেন্ট আনতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি।” তিনি তাঁর দায়িত্বের পর মাত্র ৫ মাসেই যে সাফল্য এনেছেন, তা বাংলাদেশে তরুণ নেতৃত্বের এক উদাহরণ হয়ে থাকবে।
এছাড়াও আশিক চৌধুরী একজন প্রফেশনাল স্কাইডাইভার। তিনি দেশের পতাকা বুকে নিয়ে ৪১,০০০ ফুট উপর থেকে স্কাইডাইভ করে গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে নিজের নাম তুলেছেন, যা বাংলাদেশের জন্য এক বিরল সম্মান।
তিনি সম্প্রতি বঙ্গোপসাগরীয় অঞ্চলে ব্যবসা সম্প্রসারণ ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির জন্য একটি রূপরেখা উপস্থাপন করেছেন, যা বিশেষজ্ঞ মহলে দারুণ প্রশংসিত হয়েছে।
তবে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে—এমন প্রতিভাবান ও দেশপ্রেমিক মানুষদের আমরা কতটা মূল্যায়ন করছি?
ড. ইউনুস যেমন আশিক চৌধুরীকে চিনেছেন, তেমনিভাবে কি দেশের অন্যান্য নীতিনির্ধারকেরাও তাঁকে এবং তাঁর মত প্রতিভাদের কাজে লাগাতে পারবে?
আশিক চৌধুরী আজ আমাদের গর্ব, আমাদের অনুপ্রেরণা।
এই মাটির সন্তান বিশ্বে বাংলাদেশের জন্য সম্ভাবনার নতুন দরজা খুলে দিচ্ছেন।