মাওলানা মহবুবুর রহমানের “বিশিষ্ট লেখক ও কলামিস্ট সম্মাননা” প্রাপ্তিতে সর্বত্র নিরন্তর শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন

বাংলাদেশ চিত্র ডেস্ক

অতি সম্প্রতি উত্তর পূর্ব ভারতের ঐতিহাসিক ঐতিহ্য বাহী বদরপুরের আলজামিয়াতুল আরাবীয়াতুল ইসলামীয়া খ্যাত দেওরাইল দারুল হাদীসের খতমে বোখারি এবং উত্তর পূর্ব ভারত এমারতে শরয়ীয়াহ ও নদয়াতুত তামীরের যৌথ বার্ষিক সম্মেলনে “বিশিষ্ট লেখক ও কলামিস্ট” সম্মাননা পেয়েছেন কবি, সংগঠক,সাহিত্যিক , সমাজসেবী তথা বাঙালি সমাজের এক বিশিষ্ট লেখক তথা কলামিস্ট মাওলানা মহবুবুর রহমান। উল্লেখ্য,উত্তর পূর্ব ভারত এমারতে শরয়ীয়াহ ও নদওয়াতুত তামীর এবং আলজামিয়ার যৌথ বার্ষিক সম্মেলন গত ২৮ জানুয়ারি বদরপুরের চিরাচরিত মাঠেই অনুষ্ঠিত হয়। আর এতে লাখো জনতার সমাবেশে বিশেষ ম্যামেন্টো,কাশ্মীরী শাল,আদি উপহার সামগ্রী ও সম্মাননা সমেত অন্যতম উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব বিশিষ্ট কলমচি তথা বরাক উপত্যকা বঙ্গ সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্মেলনের সন্মানিত সদস্য এবং আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের রজত জয়ন্তী উদযাপনের প্রচার সম্পাদক মাওলানা মহবুবুর রহমান সাহেব কে সংবর্ধিত করে।

বিশ্ববঙ্গ কবি সমাজের বরিষ্ট সদস্য মাওলানা মহবুবুর রহমানের বহু প্রবন্ধ -নিবন্ধ ইতিপূর্বে প্রায় দেড় দশক ধরে দেশ তথা বহির্ভারতের রকমারি বিভিন্ন উল্লেখ যোগ্য দৈনিক , পাক্ষিক,মাসিক, ত্রৈমাসিক পত্রিকা, সাহিত্য সাময়িকী তথা ম্যাগাজিনে প্রকাশিত হয়েছে। ইন্টারন্যাশনেল অনলাইন পোর্টালেও তাঁর বহু লেখা অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। এমনকি তাঁর লেখা ইউটিউবেও ভিডিও রেকর্ডিং এ ভালো ভিউ পেয়েছে। দেশের তথা বিশেষত উপত্যকার সমূহ দৈনিকের উত্তর সম্পাদকীয় মহবুবুরের কলমে বরাবরই সমৃদ্ধ হয়ে আসছে। আসলে তাঁর বজ্রকলম সর্বদাই সাম্য-মৈত্রী-ঐক্য-ভ্রাতৃত্ব-সহানুভূতি তথা ন্যায় প্রতিষ্ঠা ও সমৃদ্ধ ভারত গঠনের নিমিত্তে নিরন্তর চলমান । সংবাদ মাধ্যমের মুক্তকন্ঠ, সংবিধানের সঠিক বাস্তবায়ন তথা উন্নত সার্বভৌম দেশ গঠনই তাঁর কলমীমিশন। উপরন্তু ২০১৬ সালে বরাকের বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা স্বর্গীয় বিমলাংশু রায় নামাঙ্কিত সংগঠন “বিমলাংশু রায় ফাউন্ডেশন” কর্তৃক “আমার স্বপ্নের বরাক উপত্যকা (MY DREAM BARAK VALLEY)” শীর্ষকের উপর আয়োজিত মতামত দানপর্বে বরাকের উন্নয়ন ও উত্তরণের নিমিত্তে উপত্যকার সমস্যাদি তুলে ধরার পাশাপাশি সমাধান-সুরাহাকল্পে ক্রিয়েটিভ মতামত লিখে বিশেষ সম্মাননা ও সংশাপত্র দ্বারা সংবর্ধিত হয়েছেন। সংগঠনের মেনেজিং ট্রাস্টি তথা শিলচরের বর্তমান সাংসদ ডঃ রাজদীপ রায় আমন্ত্রণ জানিয়ে নিয়ে তাঁকে সম্মানিত করেছেন।

মহবুবুরের রচিত “মোদের মাতৃভূমি” কবিতা পুরো ভারতের মধ্যে কবিতা প্রতিযোগিতায় শ্রেষ্ঠত্বের সনদ পেয়েছে।এছাড়াও আরো অনেক লেখক শংসাপত্র মহবুবুরের ঝুলিতে রয়েছে। তাই মাওলানা মহবুবুর রহমানের এহেন সংবর্ধনা ও সম্মাননা বহুল কাঙ্ক্ষিতই বটে। বরঞ্চ তিনি আরোও অনেক বেশি ডিসার্ভ করেন বলে বিশ্লেষকদের অভিমত।তাঁর এ বিশেষ সম্মাননা প্রাপ্তিতে তাঁকে বিভিন্ন মহল থেকে অনন্ত শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানানো হয়েছে । উল্লেখযোগ্যদের মধ্যে হলেন, উপত্যকার বিশিষ্ট কলামিস্ট প্রফেসর সঞ্জীব দেব লস্কর,পয়লাপুল নেহরু কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ তথা বিশিষ্ট লেখক আবিদরাজা মজুমদার, শ্রীহট্টজ্যোতি সাহিত্য পত্রিকার সম্পাদক দীপঙ্কর ঘোষ, করিমগঞ্জ মহাবিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ডঃসব্যসাঁচি রায়, বাংলা বিভাগীয় প্রধান ডঃ বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য , শিলচর রামানুজ কলেজের প্রফেসর তমোজিৎ সাহা, আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিওর প্রফেসর আব্দুর রাজ্জাক থারাইল, বিশ্ব বিদ্যালয়ের আরবি বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর মুহাম্মদ বশির কে. , প্রফেসর মুস্তাফিজুর রহমান, ডঃ নজমুল ইসলাম বড়ভূইয়া, ডঃ হযরত হাসানুজ্জামান, হোজাই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বিশ্ব বিদ্যালয়ের ভিসি অমলেন্দু চক্রবর্তী মহাশয়, কলকাতা যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক তথা সাহিত্য সুবর্ণ ইন্টারন্যাশনেল প্রিন্টেড ম্যাগাজিনের সম্মানিত সম্মাদক ডাঃ ইমদাদ হোসেন, বাংলাদেশ থেকে ইন্টারন্যাশনেল হিউমেন রাইটসের বরিষ্ট ব্যক্তিত্ব জানাব আব্দুর রহমান কাওসার প্রমুখ ব্যক্তিবর্গ। এদিকে সবাই নর্থইস্ট নদওয়াকেও এ বিশেষ পদক্ষেপ নেওয়ায় ও উপযুক্ত ব্যক্তিকে সম্মাননা সমেত সংবর্ধিত করায় সাধুবাদ জানিয়েছেন। তারা নদওয়া ও এমারতের উত্তরোত্তর শ্রীবৃদ্ধি কামনা সহ অন্যান্য সংগঠন সমূহেরও এহেন প্রয়াস নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

Share This Article