
স্টাফ রিপোর্টার ।।
খুলনার অধিকাংশ এলাকায় প্রকাশ্যে চলছে মাদকের রমরমা বিকিকিনি। মাদকের নেশায় আসক্তদের তালিকায় রয়েছেন খুলনার বিভিন্ন শ্রেণীর কর্মকর্তা ও কিছু রাজনৈতিক নেতা থেকে শুরু করে ব্যবসায়ীরা। বর্তমানে নগরীর আনাচে কানাচে হাত বাড়ালেই মিলছে এ সর্বনাশা মাদকদ্রব্য।
তবে ফেনসিডিল, ইয়াবা’র চেয়ে গাঁজার চাহিদা খুলনায় বেশি বলে এক অনুসন্ধানে জানা গেছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রশাসনের নাকের ডগায় মাদকদ্রব্য বিক্রি ও সেবন করা হলেও দেখার কেউ নেই।
মাদক বিক্রির তালিকায় প্রভাবশালী পরিবারের সন্তানেরা জড়িত বলে জানা গেছে। প্রভাবশালীদের কারণেই প্রশাসন রয়েছে ‘নীরব। দিনের পর দিন প্রকাশ্যে মাদক ব্যবসা চলে আসার কারণেই খুলনা মহানগরী এখন মাদকে সয়লাব হয়ে গেছে। প্রতিনিয়ত বাড়ছে মাদকসেবীর সংখ্যা। ফলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন সচেতন অভিভাবকেরা। মাদক বিক্রি ঠেকাতে কয়েকজন উদ্যোগ নিলেও প্রভাবশালীদের কারণে তা ভেস্তে গেছে।
সরেজমিন দেখা যায়, ৫ আগস্ট থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কার্যক্রম শিথিল থাকার সুযোগ নিয়ে অনেকটা প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে মাদক।
খুলনা মহানগরীর ২৫ নং ওয়ার্ড আরামবাগ, বানরগাতী বাজার, পশ্চিম বানিয়াখামার, বসুপাড়া, আলামিন মহল্লা, ইসলাম কমিশনার মোড়, গল্লামারী লায়ন্স স্কুল সংলগ্ন। ২৬ নং ওয়ার্ড ক্লাবের মোড়, বাঁশতলা, আযাদ লন্ডির মোড়, বিহারী কলনীর মোড়, নাজিরঘাট, আন্দির পুকুর, কাশেমাবাদ মসজিদ লেন, ২৪ নং ওয়ার্ড রায়পাড়া, ৭ রাস্তা মোড়, মোসলমান পাড়া, নিরালা প্রন্তিকা, কাশেম সড়ক, দোলখোলা, পুর্ব বানিয়াখামার, মিস্ত্রিপাড়া, সবেদাতলা মোড় সহ খুলনা মহানগরীর প্রায় দুইশত স্পটে প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে মদ, ইয়াবা ও গাঁজা। এছাড়া মোবাইল ফোনে যোগাযোগের মাধ্যমে পাওয়া যাচ্ছে ফেনসিডিল।
নগরীর ২৫ নং ওয়ার্ড বানরগাতি আরামবাগ কৃষ্ণ মোড় এলাকার ফেরদাউস আরা সোনা, নাজমা পারভীন, মেহেরুন নেসা, আসমা পারভীন চিহ্নিত মাদক বিক্রেতা বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ।
এরা দীর্ঘদিন ধরে অতি গোপনে মাদক বিকিকিনি করে আসছে। এদের সাথে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাদের ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা বলেন, এরা দীর্ঘদিন ধরে অতি গোপনে মাদক বিক্রি করে আসছে।
এদের আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানাচ্ছি।
মেটেপুল সংলগ্ন একটি চক্র একইভাবে চালিয়ে যাচ্ছে মাদক বাণিজ্য। বসুপাড়া এরশাদ আলী লেন এলাকায়
ডেলিভারিম্যানেদের সাহায্যে এই মাদক বিক্রি হয় খুলনার বিভিন্ন স্পটে। প্রতিদিন কয়েক লাখ টাকার মাদক বিক্রি হয় খুলনা মহানগরীতে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, খুলনা গল্লামারী মাদকের মুল স্পট, যশোহর বেনাপোল থেকে মাদকদ্রব্য প্রথমে গল্লামারী আসে ওখান থেকে খালিশপুর, দৌলতপুর, ফুলতলাসহ বিভিন্ন এলাকায় মাদক চলে যায়।
গল্লামারি এলাকায় বিক্রি হচ্ছে মাদক বিক্রি। সচেতন মহল এদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানিয়েছেন।