মাদকের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় এনসিপি ও যুবদল নেতাকে মারধর করল ছাত্রদল নেতা

বাংলাদেশ চিত্র ডেস্ক

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় মাদকবিরোধী সংগঠন ‘তাকবীর’-এর দুই নেতার ওপর হামলার এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও এখনো কেউ গ্রেপ্তার হয়নি।

এ কর্মকাণ্ডের বিচারে দাবিতে (১১ অক্টোবর ) শনিবার সংবাদ সম্মেলন করেন এলাকাবাসী।

গত ৪ অক্টোবর রাতে কায়েমপুরের চাটুয়াখলা এলাকায় এনসিপির যুগ্ম সমন্বয়কারী তানভীরুল ইসলাম শাহীন ও যুবদল নেতা ফজলে রাব্বি তারেকের ওপর হামলা চালায় স্থানীয় মাদকচক্র বাদশাহ জুয়েল গং।

সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য তারেক অভিযোগ করেন—হামলার নেতৃত্ব দেন কায়েমপুর ছাত্রদল সভাপতি ও তথাকথিত ‘মাদক সম্রাট’ বাদশা জুয়েল, যিনি একাধিক মামলার আসামি।

তিনি আরও বলেন,মাদক সম্রাট বাদশা জুয়েল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির অঙ্গ/সহযোগী সংঘটনের নেতা বলে এলাকায় নিজেকে জাহির করে থাকেন,কিন্তু আমি মনে করি,মাদক,চোরাকারবারি,সন্ত্রাসী,ও খুনীদের কোনো রাজনৈতিক আদর্শ নেই,তারা সর্বাবস্থায় অপরাধী।

তিনি জানান, মামলা করার পরও পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তার করেনি। বরং বাদশা জুয়েল এখন প্রকাশ্যে হত্যার হুমকি দিচ্ছে।

এনসিপি নেতা তানভীর শাহিন বলেন,টাকার পাওয়ার ও রাজনৈতিক দলের প্রভাব খাটিয়ে এলাকায় মাদক ব্যবসার রাজত্ব গড়ে তুলেছে জুয়েল ও তার গংরা,এই হামলার বিষয়টি ইতিমধ্যে পুলিশ সুপার ও ডিসি মহোদয় কে আমরা অবহিত করেছি।

তারা অভিযোগ করেন, মাদকবিরোধী কার্যক্রম চালানোর কারণেই এই হামলা হয়েছে। আহত দুই নেতা বর্তমানে চিকিৎসাধীন।

সংবাদ সম্মেলনে তারা পুলিশের নিষ্ক্রিয়তায় উদ্বেগ জানিয়ে দ্রুত আসামিদের গ্রেপ্তার ও নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি জানান।

Share This Article