গাজীপুরের কালিয়াকৈরে অপহরণের পর তিনদিন আটকে রেখে এক মাদরাসারছাত্রীকে ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে জয় কুমার দাস নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় অভিযুক্তসহ দুইজন আটক করেছে পুলিশ।
এদিকে এ ঘটনায় শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) জুমার নামাজ শেষে পৃথক এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করে স্থানীয়রা। আটকরা হলেন অভিযুক্ত জয় কুমার দাস ও তার মামা লোকনাথ।
এলাকাবাসী ও ভুক্তভোগীর পরিবার জানায়, ওই ছাত্রীর পরিবার ও অভিযুক্ত জয় কুমার দাস কালিয়াকৈর মৌচাক এলাকায় একটি ভাড়া বাড়িতে বসবাস করে আসছিল। এ সুযোগে জয় সঙ্গে ১৩ বছরের ওই মাদরাসাছাত্রীর সম্পর্ক তৈরি করে। শনিবার হঠাৎ করেই ওই মাদ্রাসা ছাত্রী নিখোঁজ হন। অনেক খোঁজাখুজি করে তাকে না পেয়ে কালিয়াকৈর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন তার পরিবার। কিন্তু তিন দিন পর বুধবার বিকেলে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের উপজেলার মৌচাক স্টেশন এলাকায় অজ্ঞান অবস্থায় তাকে দেখতে পান প্রতিবেশীরা। সেখান থেকে তারা ওই ছাত্রীকে মৌচাক ভাড়া বাসায় নিয়ে যান। পরে জ্ঞান ফিরার পর ওই ছাত্রী জানায়, তিন দিন আগে জয় দাসের বোন জামাই সঞ্জিত ও মামা লোকনাথ বাড়ির পাশ থেকে তাকে তুলে নিয়ে যান। পরে তারা মৌচাক স্টেশনে জয় দাসের কাছে তাকে তুলে দেন। পরে জয় দেব তাকে একটি বাসায় তিনদিন আটকে রেখে তাকে ধর্ষণ করেন। এরপর অসুস্থ হয়ে পড়লে আর কিছু বলতে পারেনি ওই ছাত্রী।
এদিকে এই ঘটনায় ফুসে উঠেছে এলাকাবাসী। শুক্রবার জুমার নামাজ শেষে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের কালিয়াকৈর বাসস্টেশনে উপজেলা মডেল মসজিদ ও মৌচাক এলাকায় পৃথক দুটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে তারা। এসময় তারা ধর্ষণ জয়সহ অভিযুক্তদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানায়।
এব্যাপারে কালিয়াকৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মান্নান জানান, এ ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করে গাজীপুর জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
