মালয়েশিয়ার উচ্চশিক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এ বছর পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য ৭৮,৮৮৩ জন শিক্ষার্থীকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার প্রকাশিত সরকারি বিবৃতিতে জানানো হয়,  সিস্টেমে জমা পড়া মোট ১,০৯,৮৬৬টি আবেদনের মধ্যে প্রায় ৭১.৮০ শতাংশ আবেদনকারীকে ভর্তি প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।

মন্ত্রণালয় জানায়, শিক্ষার্থীরা ম্যাট্রিকুলেশন, সিজিল টিংগি পেলাজারান মালয়েশিয়া (STPM), ফাউন্ডেশন, সিজিল টিংগি আগামা মালয়েশিয়া (STAM), ডিপ্লোমা এবং সমমানের যোগ্যতার ভিত্তিতে নির্বাচিত হয়েছেন। ১,১৩২টি স্নাতক প্রোগ্রামের জন্য ভর্তি কার্যক্রম পরিচালিত হয় সম্পূর্ণ মেধার ভিত্তিতে। প্রার্থীদের সর্বোচ্চ থেকে সর্বনিম্ন মেধা স্কোর অনুযায়ী আসন বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

সেলাঙ্গরের বাসিন্দা আমিরুল হাকিম, যিনি কুয়ালালামপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার সায়েন্সে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন, নিজের অনুভূতি প্রকাশ করে বলেন, “এটি আমার জীবনের সবচেয়ে আনন্দের দিন। পরিবারের প্রত্যাশা পূরণ করতে পেরে আমি গর্বিত। এখন কঠোর পরিশ্রম করে পড়াশোনায় সফল হতে চাই।”
অন্যদিকে পেনাংয়ের শিক্ষার্থী আইশাহ নূর, যিনি প্রথম পছন্দের প্রোগ্রামে সুযোগ পাননি, বলেন, “আমি দ্বিতীয় পছন্দের কোর্সে প্রস্তাব পেয়েছি। যদিও কিছুটা হতাশ হয়েছি, তবুও এটিকে আমি সুযোগ হিসেবে দেখছি। প্রয়োজনে আমি আপিল করব।” অভিভাবকদের প্রতিক্রিয়া: কুয়ালালামপুরের এক অভিভাবক হাজাহ সালমাহ আবেগঘন কণ্ঠে বলেন,“আমার ছেলে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পেয়েছে, এটা পরিবারের জন্য বড় প্রাপ্তি। আমরা আশা করি সে সমাজে উপকারী একজন নাগরিক হয়ে উঠবে।” অন্যদিকে কিছু অভিভাবক ভর্তি প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা ও ন্যায্যতা নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন।

শিক্ষাবিদ ও মালয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন অধ্যাপক ড. রাহমান ইসমাইল বলেন, “মেধার ভিত্তিতে ভর্তির প্রক্রিয়া চালিয়ে যাওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে শিক্ষার্থীর দক্ষতা ও ভবিষ্যতের কর্মক্ষেত্রের চাহিদার মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখতে হবে। শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিই শেষ লক্ষ্য হওয়া উচিত নয়, বরং তাদেরকে শ্রমবাজারে প্রতিযোগিতার উপযোগী করে তুলতে হবে।” যেসব শিক্ষার্থী ভর্তি প্রস্তাব পাননি, তাদের জন্য আপিলের সুযোগ রাখা হয়েছে। ৫ সেপ্টেম্বর থেকে ১৪ সেপ্টেম্বর বিকাল ৫টা পর্যন্ত UPUOnline সিস্টেমের মাধ্যমে আপিল করা যাবে। সফল শিক্ষার্থীদের অভিনন্দন জানিয়ে মন্ত্রণালয় বলেছে,“আমরা আশা করি শিক্ষার্থীরা এই সুযোগের সর্বোত্তম ব্যবহার করবে এবং উচ্চশিক্ষার মাধ্যমে নিজেদের ভবিষ্যৎ গড়ে তুলবে।”