মিরপুরে আগুনে নিহতদের ৬ জনের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন 

বাংলাদেশ চিত্র ডেস্ক

রাজধানীর মিরপুর পোশাক কারখানায় লাগা আগুনে নিহতদের মধ্যে ৬টি লাশের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। মরদেহগুলো থেকে ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। তবে কোনও লাশ এদিন হস্তান্তর করা হয়নি।

বুধবার (১৫ অক্টোবর) সন্ধ্যার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে ময়নাতদন্ত করা হয়।

ময়নাতদন্ত করেন ঢাকা মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের প্রভাষক ডা. ফারহানা ইয়াসমিন। এ সময় চিকিৎসকদের সঙ্গে ছিলেন সিআইডির ফরেনসিকের ল্যাব পরীক্ষক মো. মাসুদ রাব্বী।

মাসুদ রাব্বী বলেন, বুধবার ৬টি মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। এদের ডিএনএ পরীক্ষার জন্য হাড় ও টিস্যু সংগ্রহ করা হয়েছে। বাকি মরদেহগুলো থেকে বৃহস্পতিবার নমুনা সংগ্রহ করা হবে। এ ছাড়া সকল দাবিদারকে বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় মালিবাগ সিআইডি ল্যাবে গিয়ে ডিএনএ নমুনা দিতে বলা হয়েছে।

এর আগে, মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন করেন রুপনগর থানার উপপরিদর্শক (এমআই) মুখলেসুর রহমান লস্কর। তিনি বলেন, ১৬টি মরদেহের সুরতহাল প্রস্তুত করা হয়েছে। এরমধ্যে ১১টি নামসহ ও ৫টি অজ্ঞাতনামা হিসেবে সুরতহালে উল্লেখ করা হয়েছে। আবার ২/৩টি মরদেহের একাধিক পরিবার দাবিদার পাওয়া গেছে। সব মরদেহ ও দাবিদারদের শরীর থেকে ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হবে।

এসআই বলেন, বুধবার যে ৬টি মরদেহ সনাক্তের পর ময়নাতদন্ত ও ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে এরা হলেন বরগুনার বামনা উপজেলার মৃত ওমর ফারুকের মেয়ে মাহিরা আক্তার (১৪)। ভোলার লালমোহন উপজেলার দলিগর নগর গ্রামের ওয়াজি উল্লাহর মেয়ে নার্গিস আক্তার (১৮)।

শেরপুর জেলার নালিতাবাড়ী উপজেলার নিজ পাড়া গ্রামের মিজানুর রহমানের ছেলে ছানোয়ার হোসেন (২৫)। গাইবান্ধা সদর উপজেলার ভবানীপুর গ্রামের আমিনুল ইসলামের ছেলে নূরে আলম সরকার (২৩)।

বরগুনার আমতলী উপজেলার দাড়িকাটা গ্রামের মৃত মজিবুর রহমানের ছেলে আল মামুন (৩৮)। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার তিলকনগর গ্রামের নজু মিয়ার ছেলে রবিউল ইসলাম রবিন (২০)। এদের মরদেহ আগামীকাল হস্তান্তর করা হবে।

এ ছাড়া যারা নিখোঁজ রয়েছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে তারা হলেন, সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার গোল্লা রাজাপুর গ্রামের রতন মিয়ার মেয়ে ফারজানা আক্তার (১৫)।

বরগুনা সদর উপজেলার ইসলামপুর গ্রামের মনিরুল ইসলামের ছেলে খালিদ হাসান সাব্বির (২৯)। নাটোরের সিংড়া উপজেলার কৃষ্ণপুর গ্রামের নুর ইসলামের ছেলে আব্দুল আলিম (১৪)। নেত্রকোনার বারহাট্টা উপজেলার নুরুল্লা গ্রামের সবুজ মিয়ার ছেলে জয় মিয়া (২০) ও তার স্ত্রী মার্জিয়া সুলতানা (১৮)।

নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ উপজেলার সাউথখালী গ্রামের নয়ন মিয়ার মেয়ে আসমা আক্তার (১৩)। নেত্রকোনার মদন উপজেলার কদমশ্রী গ্রামের সনু মিয়ার মেয়ে মুনা আক্তার সামিয়া (১৬)। লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার পশ্চিম নওদাবাস গ্রামের আব্দুল মান্নানের মেয়ে মৌসুমী খাতুন (২২)।

শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার সুরেশ্বর গ্রামের মুছা দেওয়ানের মেয়ে মুক্তা বেগম (৩৬)। নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ উপজেলার জয়পুর গ্রামের জজ মিয়ার ছেলে তোফায়েল আহমেদ (১৮) ও কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার পান্টি গ্রামের নাজমুল ইসলাম রিয়াজ (৪০)।

এ ছাড়া আব্দুল আলিম (১৪) বলে যেই লাশটি তার পরিবার দাবি করেছেন, সেই একই লাশ আরেকটি পরিবার তোফায়েল আহমেদের (১৮) বলেও আরেকটি পরিবার দাবি করেছেন।

Share This Article