
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম সীমান্তে ল্যান্ডমাইন ও ভারী গোলাবারুদ নিষ্ক্রিয় করেছে সেনাবাহিনীর বোমা নিষ্ক্রিয়করণ বিশেষজ্ঞ দল। রামু সেনানিবাসের ওই দল দুই দিনব্যাপী অভিযানে অন্তত আটটি ল্যান্ডমাইন ও বিস্ফোরক সামগ্রী শনাক্ত ও ধ্বংস করে।
সোমবার (১৩ অক্টোবর) ও মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) পর্যন্ত চলা এই অভিযানের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সীমান্তে দায়িত্বরত ৩৪ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এম খাইরুল আলম।
তিনি জানান, মিয়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি নিজ দেশের প্রতিপক্ষকে লক্ষ্য করে সীমান্তে ল্যান্ডমাইন পেতে রাখে, যার কিছু অংশ বাংলাদেশ সীমান্ত ঘেঁষেও বসানো হয়। গত ১২ অক্টোবর ওই মাইন বিস্ফোরণে বিজিবির এক সদস্য আহত হন।
গোয়েন্দা তথ্যে জানা যায়, রাখাইন প্রদেশের সীমান্তঘেঁষা এলাকায় আরাকান আর্মির ছোট ছোট ক্যাম্প রয়েছে। তারা মাঝে মধ্যেই বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বিজিবির টহল এলাকাগুলোতে মাইন পেতে রাখে।
বিজিবির অনুরোধে রামু সেনানিবাসের ৩৭ সদস্যের বোমা নিষ্ক্রিয়করণ দল মঙ্গলবার সকাল থেকে ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু, বাইশফাঁড়ি ও পেয়ারাবুনিয়া সীমান্ত এলাকায় অভিযান চালায়। মাইন ডিটেক্টরের সাহায্যে তারা ১টি ল্যান্ডমাইন, ৩টি গ্রেনেড লঞ্চারের গোলা এবং ৪টি মর্টার শেল নিষ্ক্রিয় করে দুপুরে অভিযান শেষ করে।
অভিযানটি পরিচালনা করেন রামু সেনানিবাসের অর্ডিন্যান্স মেজর আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, সহকারী হিসেবে ছিলেন ইঞ্জিনিয়ার কোরের মেজর ফারজানা ও অন্য সদস্যরা।
উল্লেখ্য, গত ১২ অক্টোবর সীমান্ত পিলার ৪০/৪১ এলাকায় টহলরত অবস্থায় ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণে বিজিবির নায়েক মো. আক্তার গুরুতর আহত হন। তিনি বর্তমানে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
বিজিবি জানিয়েছে, ওই এলাকায় নতুন বর্ডার আউটপোস্ট (বিওপি) স্থাপনের প্রস্তাব করা হয়েছে, যাতে সীমান্ত নিরাপত্তা আরও জোরদার করা যায়।