![](https://bdchitro.com/wp-content/plugins/print-bangla-news/assest/img/print-news.png)
মোংলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি
মোংলার নিউ প্যারাডাইস হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্টের খাবার খেয়ে অন্তত ৪০জন নারী-পুরুষ ও শিশু অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। এরমধ্যে ১৪/১৫জন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। বাকীদের মধ্যে কেউ চিকিৎসা নিয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন, আবার কেউ কেউ চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র নিয়ে বাড়ীতে রয়েছেন।
হাসপাতালে ভর্তি রোগীরা জানান, তারা সকলে মঙ্গল ও বুধবার দুইদিনের বিভিন্ন সময়ে পৌর শহরের নিউ প্যারাডাইস হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্টের গ্রীল ও নানরুটি খেয়েছিলেন। তারা কেউ পরিবারসহ আবার কেউ বন্ধু-বান্ধবেরা মিলে তা খান। এ খাবার খাওয়ার পর তারা অসুস্থ হয়ে পড়েন। তারপর বুধবার ও বৃহস্পতিবার দুইদিনে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২২জন ভর্তি হন। ভর্তি হওয়াদের মধ্য থেকে ৬/৭জন চিকিৎসা নিয়ে বাড়ীতে গেলেও এখন ভর্তি রয়েছেন ১৪/১৫জন। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ছাড়াও শহরের অন্যান্য ক্লিনিকে ভর্তি ও চিকিৎসা নেন আরো ১৭/১৮জন। এদের মধ্যে এক পরিবারেরই অসুস্থ হয়েছেন ৭জন। আর বন্ধু-বান্ধবসহ একসাথে অসুস্থ হয়েছেন ৫জন।
হাসপাতালে ভর্তি রহমাতুল্লাহ বলেন, হোটেল প্যারাডাইস থেকে নেয়া গ্রীল ও নানরুটি খেয়ে তার পরিবারের ৭জন অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরপর তারা হাসপাতালে ভর্তি হন। দুইদিন ধরে তারা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
হাসপাতালে ভর্তি জহিরুল ইসলাম ও কামাল হাওলাদার বলেন, ৫বন্ধু মিলে হোটেল প্যারাডাইস থেকে গ্রীল ও নানরুটি খাওয়ার পর অসুস্থ হয়ে পড়লে পরিবারের লোকজন হাসপাতালে ভর্তি করেন। আমরা ৫বন্ধুই হাসপাতালে ভর্তি রয়েছি।
এছাড়া অনেকেই হাসপাতালে না গিয়ে নিজে নিজে ওষুধ খেয়ে বাড়ীতে রয়েছেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ আফসানা নাঈমা বলেন, নির্দিষ্ট একটি হোটেল থেকে খাবার খেয়ে বেশ কিছু রোগী হাসপাতালে এসেছেন। তাদের মধ্যে কেউ কেউ চিকিৎসা নিয়ে বাড়ী গেছেন, আর ১৪/১৫জন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। খাদ্য বিষক্রিয়ায় এরা অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।
নিউ প্যারাডাইস হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্টের মালিক খোরশেদ আলম বলেন, এটা ষড়যন্ত্র, প্রতিপক্ষরা এসব করাচ্ছেন ও ছড়াচ্ছেন।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার দুপুরে হোটেল মালিক খোরশেদ আলমকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডাকিয়ে আনা হলে তিনি এ বিষয়ে দুঃখ প্রকাশ করেন বলে জানিয়েছেন উপজেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর বাসুদেব কুমার বিশ্বাস। তিনি বলেন, আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য হোটেল থেকে বিভিন্ন নমুনাও সংগ্রহ করা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আফিয়া শারমিন বলেন, এ ঘটনায় রোগীদের অভিযোগ পাওয়া গেলে ওই হোটেলটির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।