ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) প্রশাসক মো. শাহজাহান মিয়া বলেছেন, বর্জ্য সংগ্রহকারী ঠিকাদাররা কোনো বাসা থেকে মাসিক বর্জ্য সংগ্রহের জন্য ১০০ টাকার বেশি চার্জ নিতে পারবেন না। এই নির্দেশনা অমান্য করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের নিজ কার্যালয়ে বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস)-কে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।
ডিএসসিসি প্রশাসক বলেন, নাগরিক সেবা প্রদানে সিটি কর্পোরেশন সর্বদা নিয়োজিত। তিনি বলেন, সেবার বিপরীতে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান অসদুপায় অবলম্বন করলে সিটি কর্পোরেশনের নিজস্ব আইনে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি জানান, ডিএসসিসির ৭৫টি ওয়ার্ডে প্রাথমিক বর্জ্য সংগ্রহ সেবা দেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছ থেকে নতুন করে আবেদন আহ্বান করা হয়েছে। যাচাই-বাছাই শেষে দ্রুত নতুন ঠিকাদার নিয়োগ দেওয়া হবে। বর্তমানে নিয়োজিত প্রতিষ্ঠানগুলোর মেয়াদ আগামী দুই মাসের মধ্যে শেষ হচ্ছে। বর্জ্য ব্যবস্থাপনার গতি ও মানোন্নয়ন নিশ্চিত করতে এই নতুন নিবন্ধন কার্যক্রম চালু করা হয়েছে।
প্রশাসক বলেন, মানবিক কারণে নতুন ঠিকাদার নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত আগের ঠিকাদাররা কাজ চালিয়ে যেতে পারবেন। তবে কারও বিরুদ্ধে বেশি চার্জ নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া মাত্র কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, দক্ষিণ সিটির সব ওয়ার্ডে একই নিয়মে ও একই হারে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা চার্জ নিতে হবে। এ বিষয়ে বেশি নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
ঈদুল আজহা উপলক্ষে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সাফল্যের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ডিএসসিসির ৭৫টি ওয়ার্ডে ১ লাখ ৩৩ হাজার ৩১৭টি পশু কোরবানি হয়েছে। কোরবানির পশুর বর্জ্য সফলভাবে অপসারণ করে মাতুয়াইল স্যানিটারি ল্যান্ডফিলে নেওয়া হয়েছে। সিটি কর্পোরেশনের কর্মীদের কঠোর পরিশ্রম ও আন্তরিকতায় এই সাফল্য অর্জন সম্ভব হয়েছে। এই ভাবমূর্তি যেন কোনো ঠিকাদারের কারণে ক্ষুণ্ণ না হয়, সে বিষয়ে সকলকে সতর্ক থাকতে হবে।
এছাড়া, তিনি বলেন, ডিএসসিসির প্রতিটি ওয়ার্ডে মশা নিধনের জন্য নিয়মিত ওষুধ ছিটানোর কাজ চলছে। যদি এই কাজ বিঘ্নিত হয় বা নিয়মিত না হয়, তাহলে সংশ্লিষ্ট কর্পোরেশন অফিসে তা জানানোর জন্য তিনি নাগরিকদের আহ্বান জানান। প্রশাসক বলেন, কর্পোরেশন থেকে প্রতিটি বাড়ির খোঁজ নেওয়া সম্ভব নয়, কিন্তু কেউ অভিযোগ করলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।