কাউখালী (পিরোজপুর) প্রতিনিধি ::
কাউখালীতে সেতুর স্ল্যাব তৈরিতে রডের পরিবর্তে সুপারি গাছের চেরা ব্যবহার করা হয়েছে। কাউখালী সদর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের (কাঁঠালিয়া) গোসনতারা গ্রামে এমন অনিয়ম হয়েছে। সম্প্রতি সেতুটির কয়েকটি স্ল্যাব ভেঙে পড়লে বিষয়টি স্থানীয়দের নজরে আসে।
জানা গেছে, গোসনতারা গ্রামের নূরুল ইসলাম শরীফের বাড়ির সামনে কাঁঠালিয়া খালের ওপর নির্মিত স্টিলের স্ল্যাব সেতুটি পানির চাপে কয়েক বছর আগে হেলে গিয়েছিল। ওই সময় সেতুর অধিকাংশ স্ল্যাব ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পরে উপজেলা পরিষদ থেকে এডিপির বরাদ্দ থেকে ২০২১-২২ অর্থবছরে সংস্কারের জন্য অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়।
বুধবার সরেজমিন দেখা যায়, ওই সেতুর ২০ থেকে ২৫টি স্ল্যাব ভেঙে গেছে বা ফাটল ধরেছে। ভাঙা স্ল্যাবগুলোতে রডের পরিবর্তে ৫টি করে সুপারি গাছের চেরা ব্যবহার করা হয়েছে। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) অধীন এডিপির আওতায় সেতুটি মেরামত করা হয়। ২০২২ সালের ২০ জুন মেসার্স হালিমা এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী লাভলু খান এই সেতু মেরামতের কাজ করেন।
স্থানীয় বাসিন্দা নুরুল ইসলাম শরীফ ও স্থানীয় ইউপি সদস্য আজম খান জানান, ঠিকাদার অন্য জায়গায় স্ল্যাব তৈরি করে এখানে এনে সেতুতে স্থাপন করেছেন। বুধবার কয়েকটি স্ল্যাব ভেঙে পড়লে রডের পরিবর্তে সুপারি গাছ দেখে এলাকাবাসী হতবাক হন। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সরেজমিন পরিদর্শন করেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা প্রকৌশলী মো. সাখাওয়াত হোসেন জানান, আমি ঢাকায় প্রশিক্ষণে আছি। এ ধরনের ঘটনা ঘটে থাকলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ইউএনও সজল মোল্লা বলেন, বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।
উপজেলা চেয়ারম্যান আবু সাইদ মনু মিয়া বলেন, ইউএনওসহ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে তাৎক্ষণিকভাবে বৈঠক করেছি। প্রকৌশলীকে ৮ ঘণ্টার মধ্যে ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। বিষয়টি স্থানীয় সংসদ-সদস্য, এলজিইডির চিফ ইঞ্জিনিয়ার ও নির্বাহী প্রকৌশলীকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে ঠিকাদার লাভলু খানের মোবাইল নাম্বারে একাধিকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।