
দেশে প্রথমবারের মতো ইসলামী স্ট্যাডিজ প্রজেক্ট এক্সিবিশনের আয়োজন করেছে উইটন ইন্টারন্যাশনাল স্কুল। মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) প্রতিষ্ঠানটি আয়োজিত এ প্রদর্শনীতে চারটি ক্যাম্পাসের এক হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থী অংশ নেন। প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে জানানো হয়েছে, শিক্ষার্থীরা গবেষণাভিত্তিক ও সৃজনশীল উপস্থাপনার মাধ্যমে ইসলামকে একটি জীবন্ত জ্ঞানচর্চার ক্ষেত্র হিসেবে তুলে ধরে। প্রজেক্টগুলোর মধ্যে ছিল ‘আল্লাহর মহিমান্বিত সৃষ্টি’, ‘ইসলামের পাঁচ স্তম্ভ’, ‘সালাত’, ‘যাকাত’, ‘হজ্জ’, ‘লুকমান (আ.) এর হিকমাহ’ ও ‘জমজম কূপের ইতিহাস’—যা ধর্মীয় জ্ঞানকে বাস্তব জীবনের সঙ্গে যুক্ত করে উপস্থাপিত হয়।
আয়োজনের সার্বিক দায়িত্বে ছিলেন ভাইস প্রিন্সিপাল সাইদা মীরা তাবাসসুম। সহযোগিতায় ছিলেন পারভীন কাদর, মোহসিনা নিশাত শারমিন, সাইদা নাঈম ও আল-কুরআন কো-অর্ডিনেটর মুফতি মাসুম বিল্লাহ।
আরবি ও আল-কুরআন কো-অর্ডিনেটর মাওলানা মাসুম বিল্লাহ বলেন, ‘আজ আমাদের শিক্ষার্থীরা কুরআনের আয়াত ও নবীদের কাহিনি মুখস্থ করছে না; তারা চিন্তা করছে, প্রশ্ন করছে, বিশ্লেষণ করছে। যা প্রকৃত ইসলামী শিক্ষার উদ্দেশ্য। কেউ আল্লাহর সৃষ্টিজগত নিয়ে গবেষণা করছে, কেউ নবীদের জীবন থেকে শিক্ষাগ্রহণ করছে, কেউ আবার বিজ্ঞান ও ইসলামকে একত্রে দেখছে—এটাই জ্ঞানের আসল আলো।’
তিনি বলেন, ‘ইসলাম শুধু নামাজ বা রোজার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়; এটি জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে কার্যকর নির্দেশনা প্রদান করে।’
প্রিন্সিপাল ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর আবদুল্লাহ জামান বলেন, ‘ইসলামী স্ট্যাডিজ শুধুমাত্র একটি ধর্মীয় বিষয় নয়—এটি একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনবিধানের অধ্যয়ন। আমরা ইসলামকে পড়াই গবেষণাভিত্তিক ও সৃজনশীল উপস্থাপনার মাধ্যমে, যেমনভাবে বিজ্ঞান বা ইংরেজি শেখানো হয়।’
তিনি বলেন, ‘আজকের শিশুরাই আগামী দিনের সমাজ গঠন করবে। যদি আমরা তাদের এমন শিক্ষা দিতে পারি, যেখানে আল্লাহভীতি, মানবতা, নৈতিকতা ও জ্ঞানের প্রতি ভালোবাসা একসঙ্গে বিকশিত হয়, তাহলেই আমরা আলোকিত প্রজন্ম গড়তে পারবো।’