
বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বাড়ি ভাড়া মূল বেতনের ২০ শতাংশ করার দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষকদের ওপর সাউন্ড গ্রেনেড, জলকামান নিক্ষেপ ও লাঠিপেটা করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, রাতেও কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান নিয়েছেন শিক্ষকরা। কেউ পলিথিন ও পাটি বিছিয়ে রাতযাপনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এ সময় অবস্থান কর্মসূচিতে দেওয়া বক্তব্যে দেন জোটের সদস্য সচিব অধ্যক্ষ দেলাওয়ার হোসেন আজিজী।
তিনি বলেন, ‘২৪ ঘণ্টা আমরা এখানে থাকব। যতক্ষণ সরকারের পক্ষ থেকে শিক্ষকদের বাড়ি ভাড়া ভাতা মূল বেতনের ২০ শতাংশ, ১ হাজার ৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা এবং কর্মচারী ৭৫ শতাংশ উৎসব ভাতার প্রজ্ঞাপন যতক্ষণ জারি না হবে, যতদিন জারি না হবে যে কোনো মূল্যে আমরা শহীদ মিনারে অবস্থান করব, ইনশাআল্লাহ। আমাদের বৈচিত্র্যপূর্ণ বিভিন্ন কর্মসূচি আসবে।’
তিনি আরও বলেন, ৩০ হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছয় লাখ এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারী লাগাতার পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন করবেন। প্রতিষ্ঠান খোলা থাকবে, দুই-চারজন শিক্ষক থাকবেন বাকি সবার মোহনা হবে জাতীয় প্রেস ক্লাব।
এর আগে, রবিবার বেলা পৌনে ২টার দিকে রাজধানীর প্রেসক্লাব এলাকায় শিক্ষকদের পুলিশ ছত্রভঙ্গ করতে সাউন্ড গ্রেনেড, জলকামান ও লাঠিচার্জ করে। এরপর বিভিন্ন দিকে ছড়িয়ে পড়েন তারা। কিছু শিক্ষকদের আবারও প্রেসক্লাব এলাকায় অবস্থান নিতে দেখা যায়। এ ছাড়া আরেকটি অংশ প্রেসক্লাবের সামনে থেকে সরে শহীদ মিনারে অবস্থান নেন।
এ সময় প্রজ্ঞাপন ছাড়া শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনা করবেন না বলে জানিয়েছে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা। অর্থ মন্ত্রণালয়ে আলোচনা শেষে এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের সদস্য সচিব অধ্যক্ষ দেলাওয়ার হোসেন আজিজী এ ঘোষণা দেন। তবে অবস্থান কর্মসূচি নিয়ে বিভক্ত হয়ে পড়েন শিক্ষকরা।
জানা গেছে, অবস্থান কর্মসূচি প্রেসক্লাব থেকে শহীদ মিনারে সরিয়ে নেওয়ার কথা বলেন শিক্ষক নেতারা। অধ্যক্ষ দেলাওয়ার হোসেন আজিজী এমন আহবান জানান। তবে একপক্ষ এর বিরোধিতা করে সচিবালয় অভিমুখে লংমার্চ করার দাবি তুলেছেন। তারা শহীদ মিনারে না গিয়ে প্রেসক্লাবের সামনেই অবস্থান নিয়ে আন্দোলন করছেন।
শিক্ষকরা বলছেন, বাড়ি ভাড়া ২০ শতাংশ করা না হলে তারা ফিরবেন না। এর আগে অনেকবার আশ্বাস দিলেও মানা হয়নি। এবার তারা প্রজ্ঞাপন নিয়েই ফিরতে চান। এর আগে তাদের শতাংশ হারে বাড়ি ভাড়ার দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা।