ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভিসি) ড. নিয়াজ আহমেদ খানসহ চারজনকে রাষ্ট্রদূত বানাতে চায় অন্তর্বর্তী সরকার। বাকিরা হলেন প্রধান উপদেষ্টার এসডিজি বিষয়ক দূত লামিয়া মোর্শেদ, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী ও তার বোন হুসনা সিদ্দিকী।
সম্প্রতি মানবজমিনের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, ডেনমার্কে বাংলাদেশের পরবর্তী রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ পেতে যাচ্ছেন ঢাবি ভিসি ড. নিয়াজ আহমেদ খান। তাকে গ্রহণে ইতোমধ্যে কোপেনহেগেনের সম্মতি চেয়ে চিঠি (এগ্রিমো) পাঠিয়েছে সরকার। ক্লিয়ারেন্স পেলে তার নিয়োগ চূড়ান্ত হবে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী সিঙ্গাপুরের রাষ্ট্রদূত হতে পারেন। তার বোন হুসনা সিদ্দিকীকে নেদারল্যান্ডসে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত করা হতে পারে।
লুৎফে সিদ্দিকী এবং হুসনা সিদ্দিকীর বাবা এওয়াইবিআই সিদ্দিকী শেখ হাসিনার আগের আমলে পুলিশের আইজি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। লুৎফের সহোদরা হুসনা সিদ্দিকী তথ্য-প্রযুক্তিবিদ। তিনি কেপিএমজি ইন্টারন্যাশনাল সার্ভিসেস লিমিটেডের নির্বাহী পরিচালক। নেদারল্যান্ডসের আমস্টারডামে কর্মরত।
অপরদিকে প্রধান উপদেষ্টা কার্যালয়ের এসডিজিবিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক (চুক্তিভিত্তিক) ও ইউনূস সেন্টারের সাবেক নির্বাহী পরিচালক লামিয়া মোর্শেদকে ইউরোপের কোনো দেশে রাষ্ট্রদূত করা হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যদিও সেখানে কোনো ভ্যাকেন্সি নেই বলে সূত্র জানিয়েছে।
জানা গেছে, কোপেনহেগেন ছাড়াও বিভিন্ন স্টেশনে রাষ্ট্রদূত বা হাইকমিশনার পদ শূন্য রয়েছে বা শিগগির হচ্ছে। সেই তালিকায় আছে সিঙ্গাপুর, দ্য হেগ, থিম্পু, ইয়াঙ্গুন এবং তেহরান। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্র নিশ্চিত করেছে, ওই সব স্টেশনে রাষ্ট্রদূত বা হাইকমিশনার পাঠানোর বিষয়ে নীতিনির্ধারণী মহলে মৌখিক আলোচনা হলেও কোনো ফাইলওয়ার্ক শুরু হয়নি।