রাষ্ট্রপতির কাছে পরিচয়পত্র পেশ করলেন ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত

বাংলাদেশ চিত্র ডেস্ক

ঢাকায় ফ্রান্সের ১৮তম রাষ্ট্রদূত হিসেবে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের কাছে তার পরিচয়পত্র পেশ করেছেন জ্যঁ-মার্ক সেরে-শার্লেট। বুধবার (৫ নভেম্বর) সকালে তিনি বঙ্গভবনে যান। এ সময় তাকে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়। 

রাষ্ট্রপতি এবং রাষ্ট্রদূত দুই দেশের মধ্যে ঐতিহাসিক সম্পর্কের গুরুত্ব এবং গণতন্ত্র রক্ষা, বহুপাক্ষিকতার প্রচার ও জলবায়ু পরিবর্তনের পরিণতি মোকাবিলাসহ এই সময়ের চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলায় দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদারের বিষয়ে তাদের অভিন্ন প্রতিশ্রুতি নিয়ে খোলামেলা ও বন্ধুত্বপূর্ণ আলোচনা করেন।

রাষ্ট্রদূত জ্যঁ-মার্ক সেরে-শার্লেট বলেন, ফ্রান্স একটি বিশ্বস্ত ও মনোযোগী অংশীদার; যা বাংলাদেশকে সমর্থন অব্যাহত রাখবে এবং সব ক্ষেত্রে আমাদের দেশগুলোর মধ্যে সম্পর্ক আরও উন্নত ও গভীর করতে চায়।

উল্লেখ্য, রাষ্ট্রদূত শার্লেট ন্যাশনাল ডি’ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (ইএনএ) সাবেক ছাত্র এবং কূটনৈতিক ও সাংস্কৃতিক বিষয়ে প্রায় ২৫ বছরের অভিজ্ঞতার সঙ্গে একজন অভিজ্ঞ কূটনীতিক। ঢাকায় আসার আগে, তিনি ২০২১ সাল থেকে ২০২৫ সালের আগস্ট মুম্বাইয়ে ফ্রান্সের কনসাল জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

তার কর্মজীবনজুড়ে, তিনি জাতিসংঘের উপ-পরিচালক এবং ফরাসি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মানবাধিকার বিভাগসহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্বপ্রাপ্ত ছিলেন, যেখানে তিনি ছয় বছর ধরে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ এবং জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলে ফ্রান্সের কাজে অবদান রেখেছিলেন। তিনি মস্কোতে ফরাসি দূতাবাস এবং ব্রাসেলসে ইউরোপীয় ইউনিয়নে ফ্রান্সের স্থায়ী প্রতিনিধিত্বের কাউন্সেলর, রোমে ফরাসি দূতাবাসের সাংস্কৃতিক পরামর্শদাতা এবং প্যারিসে সংস্কৃতি ও যোগাযোগ মন্ত্রীর কূটনৈতিক উপদেষ্টা হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি ২০১৩ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত নয়াদিল্লিতে ফরাসি দূতাবাসের ডেপুটি হেড অব মিশন ছিলেন। বাংলাদেশের সংস্কৃতি, ইতিহাস, বৈচিত্র্য ও জীবনযাত্রার প্রতি সেরে শার্লেটের গভীর আগ্রহ রয়েছে। ঢাকায় নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত হিসেবে তিনি ফ্রান্স ও বাংলাদেশের মধ্যে অংশীদারত্ব ও সহযোগিতা জোরদারে অভিজ্ঞ দূতাবাস দলের সঙ্গে কাজ করার প্রত্যাশায় রয়েছেন। তিনি বিশ্বাস করেন, দুই দেশের মধ্যে সাধারণ মূল্যবোধ এবং স্বার্থ রয়েছে; যা একটি স্থায়ী বন্ধুত্ব গড়ে তুলতে শক্তিশালী হতে পারে।

Share This Article