
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের কাছে গত ২৮ সেপ্টেম্বর একটি চিঠি লিখেছিলেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। তিনি চিঠিতে বিভিন্ন দূতাবাস থেকে রাষ্ট্রপতির ছবি অপসারণের বিষয়টি উল্লেখ করেন। এ প্রসঙ্গে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেছেন, ‘‘চিঠি অনেক দিন পর আমার কাছে এসেছে। আমার কাছে মনে হয়, এটা নিয়ে আমরা আলোচনা না করি।’’ উপদেষ্টা বলেন, ‘‘রাষ্ট্রপতির বিষয় অনেক ওপরের। উনি তার অনুভূতি ব্যক্ত করেছেন। এটুকুই আমরা জানি।’’
বুধবার (৮ অক্টোবর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
রাষ্ট্রপতির ছবি নামানো নিয়ে কোনও আইন করা হয়েছে কিনা, এমন প্রশ্নে তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘‘কোনও আইনও করা হয়নি, চিঠিও ইস্যু করা হয়নি। কিন্তু এমনিতে সাধারণভাবে কোনও ছবি থাকবে না, এটাই হলো নিয়ম। আমার মনে হয়, এটা নিয়ে আমরা এখানেই থেকে যাই, এটা নিয়ে বিতর্ক থাকবে…।’’
উল্লেখ্য, গত আগস্টে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বিদেশে বাংলাদেশি যেসব দূতাবাসে রাষ্ট্রপতির ছবি টানানো ছিল, সেগুলো নামানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়। সরকারের এমন সিদ্ধান্তে দেশে-বিদেশি চলে নানা আলোচনা।
এরপর গত ২৮ সেপ্টেম্বর রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন পররাষ্ট্র উপদেষ্টাকে লেখা এক চিঠিতে তার অনুভূতি ব্যক্ত করেন। তিনি ছবি অপসারণের ক্ষেত্রে গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হওয়া আলোচনার কারণে বিশ্বব্যাপী তার সম্মান ভূ-লুণ্ঠিত হয়েছে বলে আক্ষেপ প্রকাশ করেন। এ ক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতি সরকারের ‘জিরো প্রোট্রেট’ নীতিকে সমর্থনের কথা জানিয়ে সংশ্লিষ্টদের আরও কৌশলী উপায়ে এটি করা যেত বলে চিঠিতে উল্লেখ করেছেন।