
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও তার সহধর্মিণী ড. রেবেকা সুলতানা মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বঙ্গভবনে এক সংবর্ধনার আয়োজন করেছেন। সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) বাংলাদেশের ৫৪তম বিজয় দিবস উপলক্ষে বঙ্গভবনের সবুজ লনে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ সফররত পূর্ব তিমুরের প্রেসিডেন্ট হোসে রামোস-হোর্তা যোগ দেন।
বাসসের খবরে বলা হয়েছে, পূর্ব তিমুরের প্রেসিডেন্টের সংবর্ধনার পরে দুই দেশের রাষ্ট্রপতি অনুষ্ঠানে যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা, অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তি, ছাত্র প্রতিনিধি ও অতিথিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
পিআইডি সূত্রে জানা গেছে, অনুষ্ঠানে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, গণঅধিকার পরিষদসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আমন্ত্রিত ছিলেন।
তবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বঙ্গভবনে পূর্ব তিমুরের রাষ্ট্রপতিকে সংবর্ধনা ও বিজয় উৎসব ‘প্রত্যাখ্যান’ করার কথা জানিয়েছে। চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে অন্তর্বর্তী সরকারের শপথের দিনে বঙ্গভবনে গেলেও বিজয় উৎসবে যাননি লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রেসিডেন্ট ডক্টর কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বীর বিক্রম।
আজ (সোমবার) বিকালে সাংবাদিকদের জানান, তিনি রাষ্ট্রপতি ভবনে অনুষ্ঠেয় অনুষ্ঠানে অংশ নিতে যাননি। পরে একটি প্রেস রিলিজ ইস্যু করা হয় তার নামে। সেখানে বলা হয়, বিজয় দিবস উপলক্ষে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করে যোগদান থেকে বিরত থাকেন মহান মুক্তিযুদ্ধের খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বীর বিক্রম।
এ বিষয়ে রাতে দলটির নেতা সালাউদ্দিন রাজ্জাক সাংবাদিকদের বলেন, ‘শপথ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করলেও এলডিপি চেয়ারম্যানের সঙ্গে রাষ্ট্রপতির সাক্ষাৎ হয়নি কখনো।’
বঙ্গভবন সূত্রে জানা গেছে, বঙ্গভবনের অনুষ্ঠানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরুসহ রাজনীতিকদের সঙ্গে সৌজন্য বিনিময় করেন রাষ্ট্রপতি।
জামায়াতের প্রচার বিভাগের সেক্রেটারি মতিউর রহমান আকন্দ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন, ‘মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বঙ্গভবনে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) বিকাল সাড়ে ৩টায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর একটি প্রতিনিধিদল যোগদান করে।’
‘সংগঠনের নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে প্রতিনিধিদলে ছিলেন—নায়েবে আমির মাওলানা আনম শামসুল ইসলাম, সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আবদুল হালিম, মোয়াযযম হোসাইন হেলাল, মাওলানা মুহাম্মাদ শাহজাহান ও এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য এবং প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের সেক্রেটারি মতিউর রহমান আকন্দ, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমির নূরুল ইসলাম বুলবুল, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য, ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমির মুহাম্মাদ সেলিম উদ্দিন, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মোবারক হোসাইন প্রমুখ।’
রাষ্ট্রপতির সঙ্গে কুশল বিনিময়ে সৌজন্যমূলক কথা বলেন টিমপ্রধান অধ্যাপক মুজিবুর রহমান।
ইসলামী আন্দোলনের সহ-প্রচার ও দাওয়াহ বিষয়ক সম্পাদক শহিদুল ইসলাম কবির জানান, বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির আমন্ত্রণে অংশগ্রহণ করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যক্ষ মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী ও দলের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ।