যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেছেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় রিভার্স ব্রেইন ড্রেইন নিয়ে একটা ক্যাম্পেইন হয়েছিল। বিদেশে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থী এবং বিভিন্ন এক্সপার্টের সিভি আছে ড্যাশবোর্ডে। আমরা এটিকে রাষ্ট্রীয়ভাবে পৃষ্ঠপোষকতা করতে চাই। যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় একটি এমপ্লয়মেন্ট প্লাটফর্ম করছে। সেখানে আমরা রিভার্স ব্রেইন ড্রেইনের যে আইডিয়া, সেটা ইন্টিগ্রেটেড করবো।
বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস ও জাতীয় প্রবাসী দিবসের অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।
আসিফ মাহমুদ বলেন, প্রবাসী যারা দেশে ফিরে আসতে চান কিংবা শিক্ষার্থী যারা দেশে কাজ করতে চান তাদের সিভিগুলো থাকবে। আমরা আহ্বান জানাবো করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলো কাজের জন্য বিভিন্ন দেশ থেকে লোক নিয়ে আসেন, তারা যেন আমাদের দেশের যারা এক্সপার্ট বিদেশে আছেন তাদের নিয়োগ দিতে পারেন। এছাড়া সরকারি কাজেও আমরা তাদের নিয়োগে বিশেষ গুরুত্ব দিবো।
এসময় জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের প্রেক্ষাপট তুলে ধরে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা বলেন, ‘আন্দোলনে যখন দমন-নিপীড়ন চলছিল, যে সময় আমাদের মাঠে নামার মতো কোনও পরিস্থিতি ছিল না, ইন্টারনেট বন্ধ করে নারকীয় হত্যাযজ্ঞ চালানো হচ্ছিল। সেই সময় আমাদের প্রবাসী ভাইয়েরা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে বাংলাদেশের পরিস্থিতি সম্পর্কে জানিয়েছেন, প্রতিবাদ করেছেন এবং পুরো বিশ্বে আওয়াজ তুলেছেন। যার ফলে জুলাইয়ের আন্দোলন এক দফায় রূপান্তরের ক্ষেত্রে বড় অবদান ছিল প্রবাসী ভাইদের।’
তিনি বলেন, আমি বিদেশে প্রবাসী ভাইদের অভিজ্ঞতা শুনেছি, বাধার কথা শুনেছি। প্রবাসীদের মধ্যেও ডায়াসপোরা আওয়ামীকরণ করা হয়েছে এবং লুটপাটের ফলে সেখানে সবচেয়ে বেশি শক্তিশালী আওয়ামী লীগের লোকজন। প্রবাসী ভাইদের কীভাবে বাধা দেওয়া হয়েছে, সেই গল্প আমি তাদের কাছ থেকে শুনেছি।
এসময় নির্বাচন সংস্কার কমিশনের উদ্দেশে আসিফ মাহমুদ বলেন, আমি একজন নাগরিক হিসেবে অনুরোধ করবো, কমিশন যেন প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিতে একটি রূপরেখা প্রণয়ন করে। প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিতে সরকার সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে।