হিজবুল্লাহ ও ইসরাইলের যুদ্ধবিরতি চুক্তি পরবর্তীতে নতুন সরকার প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে লেবানন। দেশটির সাম্প্রতিক সংকট নিরসনে সর্বোচ্চ কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালিয়েছে ফরাসি কর্তৃপক্ষ। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটি পুনর্গঠন ও নবগঠিত সরকারকে সহযোগিতার বার্তা দিতে লেবানন সফরে গেছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ।
শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) লেবাননের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জোসেফ আউনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন ম্যাক্রোঁ। বৈঠকে উঠে আসে লেবনানে ইসরাইলি হামলার বিষয়টি। ম্যাক্রোঁ জানান ফ্রান্স চায় লেবানন থেকে দ্রুত সব সেনা প্রত্যাহার করবে ইসরাইল। লেবাননের সার্বভৌমত্ব রক্ষাকে সমর্থন করেন বলেও আউনকে জানান ফরাসি প্রেসিডেন্ট।
বৈঠকে ফ্রান্স-লেবাননের মধ্যকার দীর্ঘদিনের সম্পর্কের কথা স্মরণ করেন ম্যাক্রোঁ বলেন, লেবাননের নতুন সরকারকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা দিতে পাশে থাকবে ফ্রান্স।
ফরাসি প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, ‘লেবাননের পশ্চিমে ইসরাইলি বাহিনীর সরে যাওয়ার বিষয়টিকে ভবিষ্যতে বাড়াতে হবে। দেশটি থেকে ইসরাইলি বাহিনীর পুরোপুরি সরে যাওয়া প্রয়োজন। নিরাপত্তা নিশ্চিতে লেবাননের সেনাবাহিনীর একচেটিয়া অধিকার প্রতিষ্ঠা প্রয়োজন। এইজন্যই লেবাননের সেনাবাহিনীর শক্তি বৃদ্ধি ও দেশটির দক্ষিণে সেনা মোতায়েন সমর্থন করি আমরা।’
এদিকে, লেবানন সফরে গেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসও। শুক্রবার তিনি দেশটির দক্ষিণাঞ্চলে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে দেখা করেন। বাহিনীটির বেশ কয়েকটি অবস্থান ঘুরে দেখেন গুতেরেস। প্রশংসা করেন ইসরাইলের টানা হামলার মুখে শান্তিরক্ষী বাহিনীর সাহসিকতার।