শাহজাদপুরে তীব্র গরমে চাহিদা বেড়েছে তালের শাঁসের

বাংলাদেশ চিত্র ডেস্ক

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে তীব্র গরমে চাহিদা বেড়েছে তালের শাঁসের। তীব্র গরমে দুর্বিসহ হয়ে উঠেছে জন জীবন। তাই গরম থেকে স্বস্তি পেতে ভিড় করে মানুষ তালের শাঁস খাচ্ছেন। কারন কচি তালের শাঁস যেমন পুষ্ঠিকর তেমন রসালো ও প্রশান্তি দায়ক।

শাহজাদপুর পৌর শহরের বিসিক বাসস্ট্যান্ডে, মনিহার সিনিমা হলের পাশে বাজারসহ বিভিন্ন স্থানে প্রতিদিন ভ্রাম্যমাণ তালের সাঝ এর দোকান নিয়ে বসছেন ব্যবসায়ীরা।

এছাড়াও ভ্যান যোগে ভ্রাম্যমান তাল শাঁস বিক্রেতাদের সংখ্যাও কম নয়। মৌসুম এ ফল কেউ কিনে দাঁড়িয়ে খাচ্ছেন, কেউবা নিয়ে যাচ্ছেন বাড়িতে। মৌসুমি ব্যবসায়ীরা তালের শাঁস বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করছে।

শাহজাদপুর সাব রেজিস্টার অফিসের সামনে তালের শাঁস বিক্রি করছেন আরজু নামে এক ব্যক্তি। তিনি বলেন, গ্রীষ্মের তীব্র দাবদাহে হাঁসফাঁস করা ছাত্র-ছাত্রী ও পথচারী মানুষগুলো ভিড় করছে তার দোকানে। আর রবিউল ধারালো দা দিয়ে তালের শাঁস বের করে তাঁদের চাহিদা মেটাচ্ছে।

শাহজাদপুর বাজারের তালের শাঁস বিক্রেতারা রহিম জানান, বর্তমানে প্রতিটি তাল শাঁস ৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। একটি গাছের তাল এক হাজার থেকে দেড় হাজার টাকায় কিনেছেন। গাছ থেকে তাল নামাতে লাগছে ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা এবং নিয়ে আসা বাবদ লাগছে দূরত্ব ভেদে ২০০ টাকা থেকে ৩০০ টাকা। গরম পড়লে তালের শাঁস অনেক বেশি বিক্রি হয়। প্রতি বছর তিনি এ মৌসুমে তালের শাঁস বিক্রি করেন।

কচি তাল কিনতে রাব্বি বলেন, তীব্র গরমের কারণে বাজারে কচি তালের চাহিদা অনেক বেশি। যেহেতু কচি ডাবের দাম অনেক বেশি তাই সাধারণ মানুষ কচি তালের শাঁসের দিকে বেশি ঝুঁকছে। তবে চাহিদা বেশি থাকার কারণে কচি তালও বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।

Share This Article