শাহজালাল অগ্নিকাণ্ডে দাহ্য পদার্থের কারণেই আগুনের তীব্রতা বেশি ছিল

বাংলাদেশ চিত্র ডেস্ক

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গোতে থাকা দাহ্য পদার্থের কারণেই গত শুক্রবারের অগ্নিকাণ্ডের তীব্রতা বেশি ছিল। এ কারণেই প্রাথমিক অবস্থায় দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি। পরে ফায়ার সার্ভিস ও সেনা, নৌ এবং বিমান বাহিনীর ৪০টিরও বেশি ফায়ার ভেহিকেল একত্রে কাজ করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মোস্তফা মাহমুদ সিদ্দিকী আজ মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) সকালে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 

তিনি বলেন, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে আগুনের সূত্রপাত ইমপোর্ট কুরিয়ার সেকশন থেকে হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। বিষয়টি আমরা নিশ্চিত নই। প্রাথমিকভাবে এমনটিই ধারণা করা হচ্ছে। অনেকগুলো সংস্থা বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে। তাদের তদন্ত শেষে আগুনের প্রকৃত ও সুনিশ্চিত কারণ জানা যাবে৷

তিনি এ সময় বলেন, আগুন নেভাতে আসা কোনও ফায়ার ভেহিকেলকে ইচ্ছাকৃতভাবে বাধা দেওয়া হয়নি। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে অনেক গুজবও সমাজে ছড়ানো হচ্ছে। দেশের বৃহত্তর স্বার্থে সকলেরই এই গুজব পরিহার করতে হবে।

বেবিচক চেয়ারম্যান আরও বলেন, আন্তর্জাতিক বেসামরিক বিমান চলাচল সংস্থার (আইসিএও) মানদণ্ডই আমাদের জন্য মুখ্য। আমাদের নিজস্ব ফায়ার সেবার কর্মীরাও নিয়মিত প্রতিদিন প্রশিক্ষণ নিয়ে থাকেন।

তিনি বলেন, আগুনের সময় ১৫টি ফ্লাইট ভিন্ন ভিন্ন রুটে পাঠানো হয়েছে। আর এ সময় বিমান চলাচল বন্ধ থাকায় যত যাত্রী আটকে পড়েছিলেন তাদের পরদিন বিকেল ৪টার মধ্যে নির্ধারিত গন্তব্যে পাঠানো হয়েছে।

Share This Article