রমনা বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মাসুদ আলম বলেছেন, প্রেসক্লাব এলাকার সামনে অবস্থানরত শিক্ষকদের সরিয়ে দিতে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে এবং তাদের বুঝিয়ে-ভয় দেখিয়ে জায়গা ছাড়তে বলেছে।
রবিবার (১২ অক্টোবর) দুপুরে প্রেসক্লাব এলাকায় তিনি এ কথা বলেন। তিনি জানান, অধিকাংশ শিক্ষক ইতোমধ্যে চলে গেছেন। যান চলাচলও স্বাভাবিক রয়েছে।
ডিসি বলেন, যারা সরতে অনীহা প্রকাশ করছিলেন তাদের মধ্যে কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। বর্তমানে তারা পুলিশের হেফাজতে আছেন। তিনি জানান, নেতৃত্ববিশিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে আলোচনার চেষ্টা করা হচ্ছে এবং শিক্ষকদের সম্মান রক্ষা করা হবে। কাউকে ধরে রাখার বা মামলা করার উদ্দেশ্য এখন নেই। বরং প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে সড়কে মানুষের চলাচল স্বাভাবিক করা।
ডিসি বলেন, শিক্ষক প্রতিনিধিরা বাসা ভাড়া সংক্রান্ত একাধিক দাবি নিয়ে অবস্থান করছিলেন। সেইজন্য সরকারী পক্ষ থেকে ১০ জনের প্রতিনিধিদল পাঠিয়ে আলোচনার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। আলোচনার পর কিছু প্রতিনিধিরা শহীদ মিনারে অবস্থান স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেন।
ডিসি মাসুদ আলম আরো জানান, আন্দোলনকারীদের একটি অংশ প্রেসক্লাবে ও আরেক অংশ শহীদ মিনারে অবস্থান নেওয়ার প্রবণতা দেখা গেলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কিছুটা চাপ প্রয়োগ করা হয়। যারা কথা শুনেনি, তাদের কাছ থেকে সড়ক উদ্ধার করার উদ্দেশ্যে আমরা সময় দিয়ে বোঝানোর চেষ্টা করেছি-উল্লেখ করেন তিনি।
অর্থাৎ প্রেসক্লাবের সামনে অবরোধ হলে ঢাকা শহরের যাবতীয় কর্মকাণ্ড ব্যাহত হতে পারে-এই উদ্বেগ থেকেই পুলিশ কিছু দূরত্বে সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে আশপাশেরদের সরিয়ে দিতে চেষ্টা করে, জানিয়েছে ডিসি।
এর আগে শিক্ষকদের পক্ষ বাড়িভাড়া বৃদ্ধি ও অন্য দুটি দাবিতে আন্দোলন করছিল। আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। সেই সময় কিছু সাউন্ড গ্রেনেড বিস্ফোরণ এবং জলকামান ব্যবহারের ঘটনা ঘটে।
