
বাংলাদেশের হাজার হাজার টাইপ-১ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত শিশু-কিশোরের মারাত্মক ঝুঁকি কমাতে অ্যানালগ ইনসুলিন সহজলভ্য করার ওপর জোর দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। বাংলাদেশ তথা উপমহাদেশে প্রথমবারের মতো হিউম্যান ইনসুলিন ও অ্যানালগ ইনসুলিনের তুলনামূলক এক গবেষণার ফল প্রকাশকালে তারা এ মত দেন।
শুক্রবার (১০ অক্টোবর) রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত সেমিনারে বাংলাদেশ ডায়াবেটিক এসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট ও জাতীয় অধ্যাপক এ কে আজাদ খান এই গবেষণার তথ্য উপস্থাপন করেন। পেডিয়াট্রিক ডায়াবেটিস কেয়ার অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টারের প্রধান ডা. বেদৌরা জাবীন স্বাগত বক্তব্য দেন।
গবেষণা ফলাফলের ওপর আলোচনায় অংশ নেন ইউনিভার্সিটি অব পিটসবার্গের গ্লোবাল প্রিন্সিপাল ইনভেস্টিগেটর ড. লুও জিং, লন্ডন স্কুল অব হাইজিন অ্যান্ড ট্রপিক্যাল মেডিসিনের ড. এইমহিন এনসব্রো ও ড. আবিগুইল ফল্ড এবং দেশের প্রখ্যাত ডায়াবেটিস বিশেষজ্ঞ প্রফেসর ডা. ফারুক পাঠান।
বক্তারা বলেন, এই ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল বাংলাদেশের মতো স্বল্পোন্নত দেশে টাইপ-১ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত শিশু-কিশোরদের জন্য হিউম্যান ও অ্যানালগ ইনসুলিনের তুলনা তুলে ধরে। এটি ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হাজার হাজার শিশুর জীবনমান উন্নয়নে বড় ভূমিকা রাখবে।
ডায়াবেটিক অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের অধীন পেডিয়াট্রিক ডায়াবেটিস কেয়ার অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টার এই গবেষণা পরিচালনা করে। ইউনিভার্সিটি অব পিটসবার্গ এতে সহযোগিতা করে। বিশেষজ্ঞরা এই গবেষণাকে বাংলাদেশের জন্য যুগান্তকারী আখ্যায়িত করে বলেন, এটি ভবিষ্যতে আরও প্রমাণভিত্তিক ডায়াবেটিস সেবার ভিত্তি তৈরি করবে।
তারা আরও বলেন, বাংলাদেশে এখনও মূলত পুরনো ধরনের হিউম্যান ইনসুলিন ব্যবহার করা হয়। দাম ও সহজপ্রাপ্যতার সমস্যার কারণে আধুনিক অ্যানালগ ইনসুলিন অনেকের নাগালের বাইরে থেকে যাচ্ছে।