
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ছাত্রদল নেতা জুবায়েদ হোসেনের মরদেহ কুমিল্লার হোমনা উপজেলার কৃষ্ণপুর গ্রামে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। আজ সোমবার মাগরিবের পর দ্বিতীয় জানাজা শেষে তাঁকে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয়।
এর আগে সন্ধ্যায় অ্যাম্বুলেন্সে করে জুবায়েদের মরদেহ গ্রামের বাড়ি কৃষ্ণপুরে নিয়ে আসেন স্বজনেরা। এ সময় তাঁর আত্মীয়স্বজন কান্নায় ভেঙে পড়েন। পরে বাদ মাগরিব কলাগাছিয়া উচ্চবিদ্যালয় মাঠে দ্বিতীয় জানাজা শেষে তাঁকে কবরস্থানে দাফন করা হয়। জুবায়েদের প্রথম জানাজা তাঁর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়।
জুবায়েদ হোসেন হোমনার কৃষ্ণপুর গ্রামের মোবারক হোসেনের ছেলে। তাঁর তিন ভাই রয়েছেন।
মোবারক হোসেন বলেন, ‘ছেলেকে ঘিরে আমার অনেক স্বপ্ন ছিল। সব স্বপ্ন শেষ হয়ে গেছে। শুনেছি, বাবার কাঁধে সন্তানের লাশ সবচেয়ে ভারী, এখন সেই ভার আমার কাঁধে। আমি ছেলে হত্যার বিচার ও ক্ষতিপূরণ চাই।’
নিহত জুবায়েদের চাচাতো ভাই ঢাকার বিসিআইসি কলেজের অধ্যাপক মীর মাসদুজ্জামান বলেন, ‘জুবায়েদ ছিল অত্যন্ত বিনয়ী ও মেধাবী। রোববার সন্ধ্যায় টেলিভিশন দেখে ওর মৃত্যুর খবর জানতে পারি। দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে জুবায়েদকে শনাক্ত করি।’
জুবায়েদের চাচা উপজেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আক্তার হোসেন বলেন, ‘আমার ভাতিজাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। আমি এর বিচার চাই। জুবায়েদ এলাকার সবার কাছে ভালো মানুষ হিসেবে পরিচিত ছিল।’
এর আগে গতকাল রোববার বিকেল ৪টা ৪৫ মিনিটের দিকে পুরান ঢাকায় টিউশন ছাত্রীর বাসার সিঁড়ি থেকে জুবায়েদের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তিনি জবির ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন। একই সঙ্গে তিনি কুমিল্লা জেলা ছাত্রকল্যাণ সমিতির সভাপতি ও শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ছিলেন।