ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ২৮৬ জনের বিরুদ্ধে ‘অন্তর্বর্তী সরকারকে উৎখাত ও রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ডে’ অভিযোগে করা রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা বিচারের জন্য প্রস্তুত। মঙ্গলবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ইশরাত জেনিফার জেরিন মামলটি ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে বদলির আদেশ দেন।
‘জয় বাংলা ব্রিগেড’ এর জুম মিটিংয়ে অংশ নিয়ে তারা সরকারকে ‘উৎখাতের’ চেষ্টা করেন বলে মামলায় অভিযোগে বলা হয়। ভারতে অবস্থান করা সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ২৬১ জন এ মামলায় পলাতক রয়েছেন।
চলতি বছরের ২৭ মার্চ শেখ হাসিনাসহ ৭৩ জনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে আদালতে এ মামলাটি করেন সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার মো. এনামুল হক। তদন্ত শেষে ৩০ জুলাই হাসিনাসহ ২৮৬ জনকে আসামি করে অভিযোগপত্র দাখিল করেন একই ব্যক্তি। ১৪ অগাস্ট অভিযোগপত্র গ্রহণ করে আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আদালত।
গত ১১ সেপ্টেম্বর আসামিদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয় এবং ১৪ অক্টোবর পলাতক ২৫৬ জনকে আদালতে হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। সাবেক সংসদ সদস্য সাবিনা আক্তার তুহিনসহ ২৪ জনকে এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
গ্রেপ্তার দেখানো অপর আসামিরা হলেন- মো. ইব্রাহীম খলিল বিপুল, মো. আব্দুস সবুর, মোছা. ছানোয়ারা খাতুন, মেহেদী হাসান আকাশ, এ কে এম আকতারুজ্জামান, কে এম রাশেদ, মোছা. মেরিনা খাতুন মেরি, সুশান্ত ভৌমিক, নিজাম বারী, জাহাঙ্গীর আলম, শেখ আনিচুজ্জামান আনিচ, মো. আকরামুল আলম, মো. নুর উন নবী মন্ডল দুলাল মাস্টার্স, মো. সাইফুল ইসলাম সর্দার, কাজী আবুল কালাম, মোছা. ফেন্সী, কে এম শাহ নেওয়াজ ওরফে শিবলু, রফিকুল ইসলাম, জিন্নাত সুলতানা ঝুমা, মেহেদী হাসান ঈশান ওজনি চন্দ্র সূত্রধর।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, ২০২৪ সালের ১৯ ডিসেম্বর যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সহসভাপতি রাব্বী আলমের নেতৃত্বে ‘জয় বাংলা ব্রিগেড’ এর জুম মিটিংয়ে শেখ হাসিনাসহ কয়েক শতাধিক নেতাকর্মী অংশ নেন। এসময় শেখ হাসিনা তার নেতাকর্মীদের কাছে দেশবিরোধী বক্তব্য দেন। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মুহাম্মদ ইউনূসকে উৎখাতের নির্দেশ দেন। এ বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
মামলার অপর আসামিদের মধ্যে রয়েছেন- খুলনার যুবলীগ নেতা পারভেজ খান ইমন, চট্টগ্রাম ‘জয় বাংলা ব্রিগেড’ প্রধান কবিরুল ইসলাম আকাশ, ‘জয় বাংলা ব্রিগেড বরিশাল বিভাগের আইনজীবী কামরুল ইসলাম, সোহানা পারভীন রুনা, হাফিজুর রহমান ইকবাল, আইনজীবী মাহবুবুর রহমান মধু, এলাহী নেওয়াজ মাছুম, সাজ্জাদুল আনাম।