চাঁদপুর ((মতলব) প্রতিনিধি ::
বিদ্যালয় একটি মাত্র ভবন হওয়ায় শ্রেণিকক্ষ সংকটে টিনের চালায় চলছে পাঠদান। ভবনের সঙ্গেই ছোট একটি দোচালা টিনের খুপড়ি ঘরের মধ্যে চলছে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রম।
এ চিত্র চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার ইসলামাবাদ ইউনিয়নের নন্দলালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের।
শিক্ষকদের অভিযোগ, প্রখর রোদে কষ্ট সহ্য করে টিনের চালার নিচে ক্লাস করে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ছে। বৃষ্টির দিনে পাঠদানে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ আরও বেশি হবে। এ অবস্থায় শিক্ষার্থী উপস্থিতি৷ ভাগ কমে গেছে। নতুন ভবন দ্রুত র্নির্মাণ না হলে এভাবে শিক্ষা কার্যক্রম চালানো মুশকিল হয়ে যাবে।
জানা গেছে, ১৯৩৭ সালে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। বিদ্যালয়টির দুই তলা একটি ভবন পূর্ণ নির্মাণ হয় ২০০০-২০০১ সালে।বিদ্যালয়টি উপজেলার মধ্যে একাধিকবার প্রথম স্থান অধিকার করেছে। বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর সংখ্যা৷ ৩১২। জন। যাদের পাঠদানের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ শ্রেণীকক্ষ নেই।
সরেজমিনে দেখা যায়, টিনের চালার খুপরি ঘরের মধ্যে চলছে বিদ্যালয়ের পাঠদান।ঘরের মেঝে বালুময়। ধুলাবালু উড়ছে। গরমে অতিষ্ঠ হচ্ছে শিশু শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, গরমের মধ্যে ক্লাস করতে খুব কষ্ট হচ্ছে তাদের। এছাড়া সামান্য বৃষ্টি হলে টিনের ছিদ্র দিয়ে শ্রেণিকক্ষে পানি পড়ে বই খাতা ভিজে যায়।কবে আমরা পাকা ঘরে বসে ক্লাস করতে পারবো? অন্য বিদ্যালয়ের মতো পাকা ঘরে বৈদ্যুতিক পাখার নিচে বসে আমরা পড়তে চাই।
পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষার্থী রাকিব বলেন, ভবন না থাকায় আমাদের অনেক কষ্ট করে পাঠগ্রহণ করতে হচ্ছে।রোদের কারণে টিনের চালা খুবই গরম হয়। তাপে মনে হয় শরীর পুড়ে যাচ্ছে।
বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান বলেন,ভবন না থাকায় শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। গরমের মধ্যে ক্লাস করতে খুব কষ্ট পাচ্ছে বাচ্চারা। পাঠদানের সময় অমনোযোগী হয়। একারনে শিক্ষার্থীর উপস্থিতিও দিন দিন কমছে। বাড়ি বাড়ি গিয়েও শিক্ষার্থীরা ক্লাসে আসছে না।
প্রধান শিক্ষক সুখরঞ্জন বিশ্বাস বলেন,ভবনের প্লাস্টার খসে পড়ছে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের মধ্যেই বাধ্য হয় পাঠদান চালিয়ে আসছি। শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের পোহাতে হচ্ছে সীমাহীন দুর্ভোগ। বিদ্যালয় ভবন নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট একাধিকবার আবেদন করা হয়েছে।এ সব কারণে অভিভাবকরাও বাচ্চাদের স্কুলে পাঠাচ্ছেন না বলেন তিনি।