ষড়যন্ত্রমূলকভাবে অপপ্রচারের বিরুদ্ধে জামালপুরে মৌলভীনগর উচ্চ বিদ্যালয়ের সংবাদ সম্মেলন


বিল্লাল হোসাইন, জামালপুর : প্রকাশের সময় : জুন ৬, ২০২৪, ৫:০৭ অপরাহ্ণ /
ষড়যন্ত্রমূলকভাবে অপপ্রচারের বিরুদ্ধে জামালপুরে মৌলভীনগর উচ্চ বিদ্যালয়ের সংবাদ সম্মেলন
ষড়যন্ত্রমূলকভাবে অপপ্রচারের বিরুদ্ধে জামালপুরে মৌলভীনগর উচ্চ বিদ্যালয়ের সংবাদ সম্মেলন

বিল্লাল হোসাইন, জামালপুর:

জামালপুর সদর উপজেলার মৌলভীনগর উচ্চ বিদ্যালয়ে অফিস সহায়ক পদে লোক নিয়োগ নিয়ে নানা মিডিয়ায় ষড়যন্ত্রমূলকভাবে অপপ্রচারের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সদস্যরা।

বৃহস্পতিবার (৬ জুন) দুপুরে শহরের শহীদ হারুন সড়কে প্রেসক্লাব জামালপুর কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. শহীদুল আলম বলেন, জনবল কাঠামো ২০২১ ইং অনুযায়ী বিগত ম্যানেজিং কমিটির সময়ে ৯ এপ্রিল ২০২২ তারিখে ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারী আয়া এবং অফিস সহায়ক পদে লোক নিয়গের জন্য প্রথম বিজ্ঞপ্তি প্রদান করি। ওই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে অভিযোগকারী আলপনা আক্তারসহ সর্বমোট ১০জন প্রার্থী অফিস সহায়ক পদে চাকরির জন্য আবেদন করেন। ওই সময় অফিস সহায়ক পদে আবেদনকারী প্রার্থী মো. জাহাঙ্গীর আলম নিয়োগ কার্যক্রমের বিরুদ্ধে অন্যায়ভাবে একটি মোকদ্দমা দায়ের করেন। মোকদ্দমার কোন বৈধতা না থাকায় তা বিজ্ঞ আদালত খারিজ করে দেন এবং বিদ্যালয়ের পক্ষে রায় প্রদান করেন।

তিনি বলেন, সময় সল্পতার জন্য ওই নিয়োগ কার্যক্রম সম্পাদন করা সম্ভব হয়নি। পরবর্তীতে বর্তমান ম্যানেজিং কমিটির সময়ে গত ৯ মে ২০২৩ইং তারিখের ২য় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে আয়া এবং কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর পদে লোক নিয়োগ করা হয় এবং বিভিন্ন প্রতিকূলতার জন্য অফিস সহায়ক পদের নিয়োগ কার্যক্রম সম্পন্ন করা সম্ভব হয়নি। তবে ম্যানেজিং কমিটির সভার সিদ্ধান্তে ওই পদের নিয়োগ কার্যক্রম বাতিল করে প্রার্থীদের পোস্টাল অর্ডারের টাকা ফেরত দেওয়া হয়। পরবর্তীতে অফিস সহায়ক পদের জন্য গত ৪ মে ২০২৪ইং তারিখে (৩য় বার) স্থানীয় ও জাতীয় পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রদান করা হয়। বর্তমানে ওই নিয়োগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন। উল্লেখ্য যে, অভিযোগকারীগণ মোছা. আলপনা আক্তার ও মোছা. নুরনেহার ৩য় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে অফিস সহায়ক পদের জন্য কোনো প্রকার আবেদন দাখিল করেনি।

অভিযোগকারী মোছা. আলপনা আক্তার, মো. আব্দুল মতিন মাস্টারের প্ররোচনায় তাকে অন্যায়ভাবে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার জন্য বিভিন্ন অসৎপন্থা অবলম্বন করে ব্যর্থ হয়ে গত ১ জুন ২০২৪ইং তারিখ বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে এলাকার কিছু দুষ্কৃতিকারীদের সঙ্গে নিয়ে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে পূর্ব পরিকল্পিত মিথ্যা এবং বানোয়াট এক সাংবাদ সম্মেলন করেন। ওই সময় আমি চিকিৎসার প্রয়োজনে বিদ্যালয়ের বাইরে অবস্থান করি।

সে-সময়ে মতিন মাস্টার তার সাঙ্গপাঙ্গ নিয়ে আমার অফিস কক্ষে অন্যায়ভাবে প্রবেশ করে টেবিলের উপরে রাখা কাগজপত্র তছনছ করে আমাকে এবং সভাপতি সাহেবকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও হুমকি প্রদান করেন। পরবর্তীতে আলপনা আক্তার ও নূরনেহার কর্তৃক সাজানো ও ষড়যন্ত্রমূলক সাক্ষাৎকারটি বিভিন্ন মিডিয়া মারফত প্রচার করে আসছে। যার মাধ্যমে আমরা বিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট সকলেই সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন হচ্ছি। যা আমদের সুষ্ঠু পাঠদান ও অন্যান্য কার্যক্রমে বিঘ্ন ঘটাচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, বিদ্যালয়ের সভাপতিসহ আমরা শিক্ষকরা ওই ন্যাক্কারজনক ঘটনার তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। একই সঙ্গে শিক্ষা প্রশাসনের কাছে ওই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত সত্য উদ্‌ঘাটন ও ঘটনার সাথে জড়িত সকলের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি।

সংবাদ সম্মেলনে বিদ্যালয়ের সভাপতি মাসুদ রানা, সহকারী শিক্ষক সিরাজুল হক, ধর্মীয় শিক্ষক মো: আ: মান্নান, সহকরী শিক্ষক নাহিদা ফেরদৌস,অভিভাবক সদস্য আলমগীর হোসেন, মো: শিবলী রহমান, মহিলা অভিভাবক সদস্য আলেয়া বেগমসহ অন্য শিক্ষকরাও উপস্থিত ছিলেন।