সংকট কেটেছে ৪৪৮ জনের, এখনও অনিশ্চয়তায় ৭৫ হজযাত্রী

বাংলাদেশ চিত্র ডেস্ক

সম্প্রতি ৫২৩ জন হজযাত্রীর টাকা নিয়ে লাপাত্তা হয় আল রিসান ট্রাভেলস ও দিয়া ইন্টারন্যাশনাল নামের দুই এজেন্সি। এর মধ্যে আল রিসান ট্রাভেলসের ৪৪৮ জনের সংকট সমাধান হলেও দিয়া ইন্টারন্যাশনালের ৭৫ জন হজযাত্রীর সংকটের সমাধান হয়নি। ফলে এই এজেন্সির মাধ্যমে নিবন্ধন করা হজযাত্রীদের হজে যাওয়া অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার (১৬ মে) ৪৪৮ জন হজযাত্রীর মধ্যে কারও ভিসা না হওয়ায় আল রিসান ট্রাভেলসকে শোকজ করে ধর্ম মন্ত্রণালয়। শোকজে বলা হয়, এজেন্সিটিতে নিবন্ধিত হজযাত্রীদের মধ্যে অদ্যাবধি কোনও ভিসা করা হয়নি। এ অবস্থায় এজেন্সিটির ব্যবস্থাপনা পরিচালকের সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। এতে এজেন্সিটিতে নিবন্ধিত হজযাত্রীদের প্রতারিত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে এবং তাদের এ বছর হজে যাওয়া অনিশ্চিত হতে পারে।

শোকজের পর ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে এবং হজযাত্রীদের ভিসা কার্যক্রম শুরু করে রিসান ট্রাভেলস। সর্বশেষ তথ্য মতে, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ভিসা করিয়ে হজযাত্রীদের সৌদি আরবে পাঠাতে পারবেন বলে ধর্ম মন্ত্রণালয়কে জানিয়েছে এজেন্সিটি।

ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হজ অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব মতিউল ইসলাম ঢাকা প্রতিদিনকে বলেন, বৃহস্পতিবার শোকজ করার পর আল রিসান এজেন্সি হজযাত্রীদের ভিসা কার্যক্রম শুরু করেছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে হজযাত্রীদের সৌদিতে পাঠাবে— এমন নিশ্চিয়তা দেওয়ার পর তাদের কাজ করতে বলা হয়েছে। তবে, দিয়া এজেন্সির নামে এক ব্যক্তি আইডি খুলে প্রতারণা করেছেন, যার সমাধান এখনও হয়নি।

জানা গেছে, ‘লিড’ এজেন্সির সঙ্গে সমন্বয় না করে ৭৫ জন যাত্রীর তিন কোটি টাকা নিজেদের নামে করা এজেন্সির ব্যাংক হিসাবে নিয়েছে দিয়া ইন্টারন্যাশনালের মালিকপক্ষ। এর ফলে এজেন্সিটির মাধ্যমে নিবন্ধন করা হজযাত্রীদের হজযাত্রা নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ওই হজ এজেন্সির চেয়ারম্যান মো. কামরুল ইসলাম ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ আলীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেয় ধর্ম মন্ত্রণালয়। ওই চিঠি পেয়ে তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে দেশের সব ইমিগ্রেশনকে চিঠি দেয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

দিয়া ইন্টারন্যাশনালের চেয়ারম্যান পরিচয়ধারী কামরুল ইসলাম ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক পরিচয়ধারী মোহাম্মদ আলী বাবু এসব হজযাত্রীকে আল ঈমান হজ কাফেলা ট্রাভেলস অ্যান্ড ট্যুরসের অধীনে নিবন্ধন করান। কিন্তু নিবন্ধনের অর্থ আল ঈমান হজ কাফেলা ট্রাভেলস অ্যান্ড ট্যুরসের অনুকূলে পরিশোধ না করায় পিআইডি পাননি তারা।

অতিরিক্ত সচিব মতিউল ইসলাম বলেন, দিয়া ইন্টারন্যাশনাল শুধু আইডি খুলে এ প্রতারণা করেছে। ট্রেড লাইন্সেস দিয়ে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলে টাকা সংগ্রহ করেছেন মোহাম্মদ আলী। তিনি যাতে দেশত্যাগ করতে না পারেন, সেজন্য তার দেশত্যাগের নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছি।

Share This Article