
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ফেসবুকসহ সব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নির্বাচনি প্রচারে নতুন সাতটি নির্দেশনা যুক্ত করতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ নির্দেশনাগুলো থাকবে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীদের জন্য প্রণীত আচরণ বিধিমালায়।
নির্বাচন কমিশনের এক কর্মকর্তা বলেন, বর্তমান যুগটাকে আমরা বলছি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের যুগ। এমন একটি যুগে এসে ফেসবুক ইউটিউবসহ সব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রার্থী ও রাজনৈতিক দল নির্বাচনি প্রচারণা চালাবে এটা স্বাভাবিক। তাই কমিশনও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারণার ক্ষেত্রে কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা চূড়ান্ত করছে। এসব বিধিমালার জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারণায় বিদ্বেষ ছড়াবে না বলে আমার মনে হয়।
রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা ২০২৫-এ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারণার ক্ষেত্রে যে সাতটি বিধান যুক্ত হচ্ছে সেগুলো হলো–
১. প্রার্থী, তার এজেন্ট বা সংশ্লিষ্ট দলকে প্রচার শুরুর আগে ব্যবহৃত সব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের নাম, একাউন্ট আইডি, ই-মেইল ঠিকানাসহ প্রয়োজনীয় তথ্য রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে জমা দিতে হবে।
২. নির্বাচনি প্রচারণায় বা নির্বাচনসংক্রান্ত কোনও কাজে অসৎ উদ্দেশ্যে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ব্যবহার করা যাবে না।
৩. ঘৃণাত্মক বক্তব্য, ভুল বা বিভ্রান্তিকর তথ্য, কারও চেহারা বিকৃতি কিংবা ভুয়া নির্বাচনসংক্রান্ত কনটেন্ট তৈরি ও প্রচার করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
৪. প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী, নারী, সংখ্যালঘু বা কোনও জনগোষ্ঠীকে লক্ষ্য করে ঘৃণাত্মক বা উসকানিমূলক ভাষা, কিংবা ব্যক্তিগত আক্রমণ করা যাবে না।
৫. নির্বাচনি স্বার্থে ধর্মীয় বা জাতিগত অনুভূতির অপব্যবহার করা যাবে না।
৬. সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নির্বাচনসংক্রান্ত কোনও তথ্য বা কনটেন্ট শেয়ার বা প্রকাশের আগে তার সত্যতা যাচাই করতে হবে।
৭. কোনও রাজনৈতিক দল, প্রার্থী বা তাদের সমর্থকরা ভোটারদের বিভ্রান্ত করা, কারও চরিত্র হনন বা সুনাম নষ্ট করার উদ্দেশ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বা অন্য কোনও মাধ্যমে সাধারণভাবে, সম্পাদনা করে বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ব্যবহার করে কোনও মিথ্যা, বিভ্রান্তিকর, পক্ষপাতদুষ্ট, ঘৃণাত্মক, অশ্লীল বা মানহানিকর কনটেন্ট তৈরি, প্রকাশ, প্রচার বা শেয়ার করতে পারবেন না।
উল্লেখ্য, ইতোমধ্যে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এএমএম নাসির উদ্দিন বলেছেন, আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে রোজার আগে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তফসিল ঘোষণা করা হবে ডিসেম্বরের প্রথমার্ধে।