কোটা সংস্কার নিয়ে সৃষ্ট প্রাণঘাতী বিক্ষোভ বাংলাদেশকে ঝাঁকুনি দিয়েছে। ইন্টারনেট ওয়াচডগ নেটব্লকস বাংলাদেশে ইন্টারনেট সীমিত করার ঘটনা চিহ্নিত করেছে। সাইবার সিকিউরিটি কোম্পানি সার্ফশার্কের ইন্টারনেট শাটডাউন ট্র্যাকার বলছে, ২০২১ সালের পর আবার একবার বাংলাদেশে ইন্টারনেটে প্রতিবন্ধকতা দিল সরকার, যার উদ্দেশ্য রাজনৈতিক।
সার্ফ শার্ক এক মেইলের জবাবে জানিয়েছে, ২০২১ সালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরকে কেন্দ্র করে বিক্ষোভের মধ্যে সর্বশেষ ইন্টারনেট সীমাবদ্ধ করেছিল সরকার।
তার আগে ২০১৯ সালে রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে ইন্টারনেট সীমিত করা হয়েছিল।
২০১৮ সালে সংসদ নির্বাচনের সময় সরকার ইন্টারনেট সীমিত করেছিল। ফলে সে সময় দেশে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও মোবাইল ইন্টারনেট অচল হয়ে যায়।
সার্ফশার্কের মুখপাত্র লিনা সুরভিলা বলেন, বাংলাদেশে ২০১৫ সাল থেকে এ পর্যন্ত মোট সাতবার ইন্টারনেট সীমিত করেছে বা প্রতিবন্ধকতা দিয়েছে সরকার। সবই বিভিন্ন রাজনৈতিক অস্থিরতার সাথে সম্পর্কিত। সাম্প্রতিক কোটাবিরোধী আন্দোলন থেকে বোঝ যায়, সরকার এখন ইন্টারনেটকে আন্দোলন নিয়ন্ত্রণের কার্যকর হাতিয়ার হিসাবে বিবেচনা করে।