
সরকারি কাজে বাধা ও কর্মকর্তাকে মারধরের অভিযোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সোহেল জাহানকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-দপ্তর সম্পাদক মিনহাজুল ইসলাম ভূঁইয়ার স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। একই সঙ্গে তার সঙ্গে যুবদলের সব পর্যায়ের নেতাকর্মীদের সাংগঠনিক সম্পর্ক না রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা যুবদলের সভাপতি মো.শামীম মোল্লা ।
জানা গেছে, সোহেল জাহান শহরের গোকর্ণঘাট এলাকার বাসিন্দা হলেও বর্তমানে কাজীপাড়ায় পরিবারসহ বসবাস করছেন।
এর আগে সোমবার (১৩ অক্টোবর) রাতে সরকারি কাজে বাধা ও সরকারি কর্মকর্তাকে মারধরের অভিযোগে সোহেল জাহানকে ভ্রাম্যমাণ আদালত এক দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও এক হাজার টাকা জরিমানা করেন। আদালতের নেতৃত্ব দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সিফাত মো. ইশতিয়াক ভূঁইয়া।
সূত্র জানায়, শহরের কাজী মাহমুদ শাহ সড়কসংলগ্ন কাজীপাড়ার উত্তর পাশে ১ নম্বর খতিয়ানের আওতাভুক্ত ১৫ শতাংশ সরকারি জায়গায় ব্যানবেইসের (বাংলাদেশ শিক্ষা তথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরো) একটি প্রকল্পের ভবন নির্মাণকাজ চলছিল।
সোমবার দুপুরে উপজেলা ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার রফিকুল ইসলাম, জারিকারক বোরহান উদ্দিন ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা জায়গাটি মাপজোখ করতে গেলে বাধা দেন সোহেল জাহান।
তিনি দাবি করেন, জায়গাটির একটি অংশ তার মালিকানাধীন। সরকারি কর্মকর্তারা মাপজোখ অব্যাহত রাখতে চাইলে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন এবং সার্ভেয়ারদের সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। এক পর্যায়ে জারিকারক বোরহান উদ্দিনের সঙ্গে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে, এতে তিনি আহত হন।
ঘটনার পর পুলিশ সোহেল জাহানকে আটক করে ভ্রাম্যমাণ আদালতের সামনে হাজির করে। পরে আদালত তাকে দণ্ড প্রদান করেন।
এরপর যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটি শৃঙ্খলাভঙ্গ ও দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার অভিযোগে সোহেল জাহানকে বহিষ্কার করে সংগঠনের সব কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেয়।