বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেছেন, ‘সরকার ভোজ্যতেলের দাম বাড়ায়নি। মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন ছাড়া দাম বাড়ানোর এখতিয়ার নেই ব্যবসায়ীদের। যদি দামের তারতম্য ঘটে সরকার প্রয়োজনীয় সক্ষমতা ব্যবহার করবে।’
মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) রাজধানীর পূর্বাচলে ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরার (আইসিসিবি) রাজদর্শন হলে ২০তম জাতীয় ফার্নিচার মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনকালে সয়াবিন ও পাম তেলের দাম বাড়ানো ইস্যুতে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
এর আগে গত ১৩ অক্টোবর ভোজ্যতেলের দাম বাড়িয়ে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন। এতে বলা হয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করে আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এ নতুন মূল্য সমন্বয় করা হয়েছে।
বোতলজাত সয়াবিন তেল প্রতি লিটারে ৬ টাকা বাড়িয়ে ১৯৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। অন্যদিকে খোলা সয়াবিন তেল প্রতি লিটারে ৮ টাকা বাড়িয়ে ১৭৭ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এছাড়া বাজারে পাঁচ লিটারের প্রতি বোতল সয়াবিন তেল ২৩ টাকা বাড়িয়ে ৯৪৫ টাকা ও প্রতি লিটার খোলা পাম তেলের দাম ১৩ টাকা বাড়িয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে ১৬৩ টাকা। নতুন এ দাম আজ থেকে কার্যকর হওয়ার কথা।
ফার্নিচারের ফাংশনাল ও এসথেটিক এট্রিবিউট হচ্ছে না জানিয়ে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘প্রয়োজনীয় উদ্ভাবন হচ্ছে না। নীতিগতভাবে সরকার যত আধুনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার; তা করছে। ব্যবসায়ীদের দরকার উদ্ভাবন বাড়ানো। ফার্নিচার শিল্পের জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয় নতুন নতুন বাজার খুঁজতে কাজ করছে। এই শিল্পে নান্দনিকতা ও রুচির বহিঃপ্রকাশ আছে। তা নিয়ে কাজ করতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রাইসের জন্য নয়, উদ্ভাবনের জন্য ক্রেতারা আমাদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়। কিছু দেশের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি।’
ফার্নিচার মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জানানো হয়, দেশীয় ফার্নিচার শিল্প দেশের শতভাগ চাহিদা পূরণ করছে এবং উল্লেখযোগ্য পরিমাণ পণ্য বিদেশে রফতানি হচ্ছে। এবারের মেলার মূল লক্ষ্য হলো দেশীয় ফার্নিচার শিল্পের বিকাশ ঘটানোর পাশাপাশি রফতানি বাজার আরও সম্প্রসারণ করা। এবারের মেলায় মোট ৪৮টি শীর্ষস্থানীয় ফার্নিচার কোম্পানি অংশ নিচ্ছে। কনভেনশন সেন্টারটির গুলনকশা (হল-১), পুষ্পগুচ্ছ (হল-১) এবং রাজদর্শন (হল-৩) হলে পাঁচ দিন ধরে এই মেলা চলবে।