টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের পোস্টার বয় না হোন, সাকিব আল হাসান এই ফরম্যাটে ছিলেন অনেক বড় একটি নাম। বিশেষ করে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে। দীর্ঘদিন এই ফরম্যাটে ছিলেন অলরাউন্ডারদের তালিকার শীর্ষে।
যদিও টি-টোয়েন্টি থেকে অবসরের ঘোষণা এরই মধ্যে দিয়ে ফেলেছেন বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার। ২০২৪ বিশ্বকাপে আফগানিস্তানের বিপক্ষে কিংসটাউনে সর্বশেষ ম্যাচটি খেলেছেন তিনি।
টি-টোয়েন্টিকে বিদায় বলার আগে এই ফরম্যাটে সাকিব খেলেছেন ১২৯টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ। করেছেন ২৩.১৯ গড়ে এবং ১২১.১৮ স্ট্রাইক রেটে ২৫৫১ রান। এছাড়া ২০.৯১ গড়ে নিয়েছেন ১৪৯টি উইকেট।
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে একজন অলরাউন্ডার হিসেবে ২৫০০ রান প্লাস এবং ১০০ উইকেটের বেশি নেয়া ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান ছাড়া এখনও পর্যন্ত আর কেউ নেই। তবে, ২৫০০ রান প্লাস এবং ৫০ উইকেট নেয়া অলরাউন্ডার আছেন মাত্র তিনজন।
নিঃসন্দেহে প্রথমজন সাকিব আল হাসান (ঝযধশরন অষ ঐধংধহ)। যার নামের পাশে ২৫৫১ রানের পাশাপাশি আছে ১৪৯টি উইকেট। দ্বিতীয় ক্রিকেটার হলেন পাকিস্তানের মোহাম্মদ হাফিজ। ১১৯ ম্যাচ খেলে তিনি রান করেছেন ২৫১৪ এবং উইকেট নিয়েছেন ৬১টি। তালিকায় তৃতীয় ক্রিকেটার হলেন মালয়েশিয়ান অলরাউন্ডার বিরানদিপ সিং। ১০২ ম্যাচ খেলে তিনি রান করেছেন ৩০১৩, উইকেট নিয়েছেন ৯৭টি।
টি-টোয়েন্টিতে এই তিনজনের এলিট তালিকায় চতুর্থজন হিসেবে নাম লেখানোর অপেক্ষায় অস্ট্রেলিয়ার অলরাউন্ডার গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ( এষবহহ গধীবিষষ)। যিনি এরই মধ্যে ১২১ ম্যাচ খেলে ২৯.২৯ গড়ে এবং ১৫৬.০৩ স্ট্রাইক রেটে রান করেছেন ২৭৫৪। উইকেট নিয়েছেন ৪৬টি। অর্থ্যাৎ আর মাত্র ৪টি উইকেট হলেই সাকিব আল হাসানদের বিরল ক্লাবে চতুর্থ ক্রিকেটার হিসেবে যুক্ত হবেন তিনি।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-২০ সিরিজের প্রথম ম্যাচে ফ্লপ ম্যাক্সওয়েল। ব্যাট হাতে ৫ বলে ১ রান করার পাশাপাশি বল হাতে নিয়েছেন মাত্র ১ উইকেট। অর্থ্যাৎ, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের বাকি দুই ম্যাচে ৩ উইকেট নিতে পারলেই টি-টোয়েন্টিতে অলরাউন্ডার হিসেবে ২৫০০ রান প্লাস ও ৫০ বার তার বেশি উইকেট নেয়াদের তালিকায় প্রবেশ করবেন অস্ট্রেলিয়ান এই অলরাউন্ডার।