সাকিব দলের সাথেই থাকছেন

বাংলাদেশ চিত্র ডেস্ক

দেশে ফেরানো হচ্ছে না সাকিব আল হাসানকে। সব গুঞ্জন দূরে ঠেলে থাকছেন জাতীয় দলে। তার জন্য যেকোনো আইনি মোকাবেলা করতে রাজি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি), দোষী সাব্যস্ত না হওয়া পর্যন্ত খেলবেন তিনি। ফলে পরের টেস্টে সাকিবের খেলা নিয়ে নেই আর কোনো শঙ্কা।
সরকার পতনের পর হারিয়েছেন সংসদ সদস্য পদ, এরপর আবার যোগ হয় হত্যা মামলা। সবশেষে জাতীয় দল থেকে বাদ দিয়ে তাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে বিসিবি বরাবর উকিল নোটিশ; সব মিলিয়ে বেশ চাপেই ছিলেন সাকিব আল হাসান। দোদুল্যমান ছিল তার ভাগ্য।
পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডিতে সিরিজের প্রথম টেস্ট সাকিব খেলেন হত্যা মামলার খড়গ মাথায় নিয়ে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে এক গার্মেন্টসকর্মীর নিহতের দায়ে তাকে আসামি করা হয়। এরপর জাতীয় দল থেকে বাদ দিয়ে দেশে ফিরিয়ে আনতে দেয়া হয় আইনি নোটিশও।
ফলে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে সাকিবের খেলা নিয়ে দেখা দেয় শঙ্কা। প্রশ্ন উঠে, তবে কি তাকে দেশে ফিরিয়ে আনবে বিসিবি? তবে বোর্ড সভাপতি ফারুক আহমেদ বিষয়টা তখন সামলে নেন। বলেন, প্রথম টেস্ট শেষ হলে সাকিবকে নিয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
অবশেষে গত মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত এসেছে। যদিও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসেনি।
তবে গণমাধ্যমকে বিসিবি সভাপতি জানান, খেলতে বাঁধা নেই সাকিব আল হাসানের। ফিরিয়ে আনা হচ্ছে না দেশে। দোষী সাব্যস্ত না হওয়া পর্যন্ত জাতীয় দলের হয়েও খেলবেন তিনি।
ফারুক আহমেদ বলেন, ‘সাকিবের ব্যাপারে আমাদের সিদ্ধান্ত আগেরটাই। সে খেলা চালিয়ে যাবে। তাকে দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে একটা উকিল নোটিশ এসেছিল, আমরা আজ তার জবাবেও এটাই বলেছি।’
প্রয়োজনে বিসিবির কাছ থেকে এই মামলায় আইনি সহায়তাও পাবেন সাকিব, এমনটাও বলেছেন ফারুক আহমেদ।
তিনি বলেন, ‘ও আমাদের চুক্তিভুক্ত ক্রিকেটার। প্রয়োজনে তাকে আমরা আইনগত সহায়তাও দেবো।’
বিসিবি সভাপতি আরো বলেন, ‘অভিযোগ এখনো এফআইআর পর্যায়ে আছে। এরপরও অনেকগুলো ধাপ আছে। যতক্ষণ না তার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হবে, ওকে আমরা খেলাব। পাকিস্তান সফরের পর দল ভারতে যাবে। সেখানেও আমরা সাকিবকে চাই।’

Share This Article