সাতক্ষীরায় গরমের তীব্রতায় নাভিশ্বাস উঠেছে খেটে খাওয়া মানুষের। বৈশাখে শুরু থেকে গরমের তীব্রতা হঠাৎ বেড়ে যাওয়ায় দুপুরের আগেই ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে রাস্তা। অসহনীয় কষ্ট বেড়েছে শ্রমজীবি মানুষের। ভিঁড় বেড়েছে ডাব,শরবত আর আখের রসের দোকানে। পৌরদিঘীতে দীর্ঘক্ষণ গোসল করছেন অনেকেই।
সাতক্ষীরা আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, রোববার সাতক্ষীরার তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর বাতাসের আদ্রতা শতকরা ৫৪ ভাগ। অপরদিকে শনিবার সাতক্ষীরায় এবছরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বিরাজমান ছিল। ওইদিন তাপমাত্রা ছিল ৪০.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
সাতক্ষীরায় গরমের তীব্রতায় নাকাল হয়ে পড়েছে মানুষ। সপ্তাহদুয়েকের মধ্যে বৃষ্টির দেখা না পাওয়ায় ভ্যাপসা গরম আরো অসহনীয় লাগছে জনসাধারণের ।দিন মজুর আশারাফ,কামরুল,মিঠু,রায়হান,চন্দন,রফিক,আক্তারুলসহ অনেকে বলেন,ইরি বোরো মৌসুমের ধানের পরিপক্কতা এস গেছে। অধিকাংশ জায়গায় ইতিমধ্যে ধান কাটা শুরু হয়ে গেছে। ধান কাটা,বাঁধা,মাথায় করে বহন করে খামারে পৌছে দেই।কিন্তু তীব্রতাপদাহের কারনে সকাল ১১ টার বেশি সময় কাজ করতে পারিনা।ফলে আমাদের মুজুরি কমে যায়। তাবাদে গরমের কারনে অসুস্থও হয়ে যাচ্ছি।
ভ্যানচালক রবিউল ইসলাম,আক্কাজ আলী,ইলিয়াছ আলীসহ অনেকে বলেন, ভ্যান চালাতে খুব কষ্ট হচ্ছে। রাস্তায় বের হলে মুখ পুড়ে যাচ্ছে। সকাল ১১ টার পর তীব্র গরমে রাস্তায় ভ্যান চালানো ভীষন কষ্টের। এছাড়া বাইরে বের হওয়া মানুষের সংখ্যা কমে যাচ্ছে বলে ভাড়াও সেভাবে পাচ্ছিনা।
শহরের বিভিন্ন মোড়ের শরবত বিক্রেতারা জানান,অন্য যেকোন সময়ের তুলনায় শরবত বিক্রি বেড়েছে। আগে যেখানে ৪০ থেকে ৫০ গ্লাস শরবত বিক্রি করতাম,এখন সেখানে দ্বিগুনের চেয়েও বেশি বিক্রি হচ্ছে।
সাতক্ষীরা আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক কামরুন্নাহার বলেন, সাতক্ষীরায় কখনো মৃদু আবার কখনো মাঝারি তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এপ্রিল মাসের পুরোটা সময় এধারা অব্যহত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।