
সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার দক্ষিণ ভাদিয়ালি গ্রামে দীর্ঘদিন বিরোধপূর্ণ ৮১ শতক জমি আদালতের নির্দেশে অবশেষে বাদী হাফিজুলের দখলে হস্তান্তর করা হয়েছে। শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উকিল কমিশনের তত্ত্বাবধানে এবং পুলিশ প্রশাসনের উপস্থিতিতে এ দখল কার্যক্রম সম্পন্ন হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মৃত শওকত হোসেনের সন্তানরা—আবুল হাসান, বাবুল হোসেন, নার্গিস পারভীন, নাজনীন আক্তার খুকু, নাহিদা পারভীন ও নাদিরা পারভীন—২০০৭ সালে দুটি খতিয়ানের ৬টি দাগে উল্লেখ করে মোট ৮১ শতক জমি ক্রয় করেন। জমির রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন হয় ২০২০ সালে। তবে জমিটি বুঝে না পেয়ে দীর্ঘদিন আইনি লড়াই চালান হাফিজুল ও তার পরিবার।
আদালতের নির্দেশ বাস্তবায়নে সাতক্ষীরা কলারোয়া থানার এসআই তপন কুমার বিশ্বাস পুলিশের নেতৃত্ব দেন। তিনি জানান, “আদালতের নির্দেশ বাস্তবায়ন করেছি। উকিল কমিশনের তত্ত্বাবধানে সার্ভেয়ার দিয়ে বাদী হাফিজুলকে তার প্রাপ্য জমি দখলে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।”
জমি বুঝে পেয়ে বাদী হাফিজুল বলেন, “দীর্ঘদিনের আইনি লড়াইয়ের পর অবশেষে ন্যায়বিচার পেয়েছি। তবে আজ সকালে জমিতে গেলে আমাকে মারধরের চেষ্টা করা হয় এবং হুমকি দেওয়া হয়। আমি প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করছি। আদালত ও প্রশাসনের পাশে থাকার জন্য আমি কৃতজ্ঞ।”
উকিল কমিশনার এডভোকেট মানির বিশ্বাস জানান, দেওয়ানী ২৬৮/২২ মামলার ডিক্রি অনুযায়ী জমি মাপজোক শেষে হাফিজুলকে তার প্রাপ্য জমি বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, “১২৪ মামলার বাদী পক্ষের ডিগ্রীকৃত জমি আদালতের নির্দেশে বুঝিয়ে দেওয়া হলো।”
এ সময় ঢোল পিটিয়ে ঘোষণা করা হয় “কলারোয়া সহকারী জজ আদালতের আদেশক্রমে এই জমি বাদী হাফিজুলকে বুঝিয়ে দেওয়া হলো।”