
সাতক্ষীরায় মাদক মামলায় খাদিজা বেগম নামের এক নারীকে মাদক মামলায় দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। গত ১৫ অক্টোবর বুধবার বিকেলে সাতক্ষীরার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ২য় আদালতের বিচারক সাবিনা ইয়াসমিন জনাকীর্ণ আদালতে এই রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার আসামি পলাতক ছিলেন বলে বেঞ্চ সহকারী কবিরন হোসেন নিশ্চিত করেছেন।
সাজাপ্রাপ্ত খাদিজা বেগম সাতক্ষীরা সদর উপজেলার শ্রীরামপুর এলাকার মৃত করিম সরদার মেয়ে।
আদালত সূত্রে জানা যায়, সেশন – ৪৭/০২ মামলায় ২০০১ সালের ২১ সেপ্টেম্বর সকালে সাতক্ষীরা খুলনা মহাসড়কের নারকেলতলা ব্রিজের উপর আসামি খাদিজা বেগম রিকশা যোগে খুলনা গামী বাসে ওঠার প্রাক্কালে রিকশা প্রতিরোধপূর্বক ঘেরাও কোরিয়া উপস্থিত সাক্ষীদের মোকাবেলায় আসামীর জিজ্ঞাসাবাদ করিলে আসামী তার শরীর থেকে লুকায়িত ১১০ বোতল (১১ লিটার)ফেনসিডিল বের করে দেয়। এ ঘটনায় একই দিনে
সাতক্ষীরা সদর থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের১৯৯০এর ১৯(১)৩(খ) ধারায় মামলা দায়ের করে।এই মামলার
বাদী ছিলেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সাতক্ষীরা জেলা কার্যালয়ের পরিদর্শক কাজী হাবিবুর রহমান। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন পরিদর্শক বেলায়েত হোসেন। আসামি জামিন নিয়ে পলাতক ছিলেন।
দীর্ঘ তদন্ত ও সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালতে আসামিকে দোষী সাব্যস্ত করে এই দণ্ডের আদেশ দেন। রাষ্ট্র পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট মোস্তফা জামান ও শিহাব মাসউদ সাচ্চু।
রাষ্ট্রপক্ষ ৬ জন সাক্ষীর মধ্যে ৪ জন সাক্ষীর স্বাক্ষর প্রদান করেন। অত্র মামলা তদন্ত কর্মকর্তা অভিযোগ পত্র দাখিল করেন ২০০২ সালের ৩ মার্চ । আদালত অভিযুক্ত আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ২০ নভেম্বর ২০০৩ তারিখে। আসামি দীর্ঘদিন পলাতক ছিলেন বলে জানাযায়।
রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন না। আসামীর সাজার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অতিরিক্ত পিপি এড. মোস্তফা জামান।