সামাজিক ব্যবসার সঙ্গে প্রযুক্তির মেলবন্ধনে স্বাস্থ্যখাতের সমস্যা দূর হবে: প্রধান উপদেষ্টা

বাংলাদেশ চিত্র ডেস্ক

অন্তবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, প্রযুক্তি আমাদের জন্য আশীর্বাদ। সামাজিক ব্যবসার সঙ্গে প্রযুক্তির মেলবন্ধন হলে স্বাস্থ্যখাতের সব সমস্যা দূর হয়ে যাবে।

বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বুধবার নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে ‘ট্রান্সফর্মিং প্রাইমারি হেলথ কেয়ার- বাংলাদেশ’স ব্লুপ্রিন্ট ‘ শীর্ষক জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের উচ্চপর্যায়ের কর্মসভায় এসব কথা বলেন তিনি।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমি সবসময় বলে আসছি যে ওষুধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানকে সামাজিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে রুপান্তর করতে হবে। কেন একটি ওষুধ কোম্পানি নামমাত্র মুল্যে ওষুধ উৎপাদন করে বেশি দামে বিক্রি করবে। কেন তারা সামাজিক ব্যবসার মধ্যে প্রবেশ করে দেখছে না যে কোন ওষুধে কত দামে বিক্রি করা যেতে পারে। সামাজিক ব্যবসার মতো প্রতিষ্ঠান থাকলে তারা অনুধাবন করতে পারতো যে কত দামে কোন ওষুধ বিক্রি করা যায়।’

তিনি বলেন, ‘আমি সব ওষুধ প্রস্তুতকারী কোম্পানিকে আমন্ত্রণ জানাই তাদেরই কিছু নতুন প্রতিষ্ঠানকে সামাজিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান হিসেবে তৈরি করতে। যেখানে সেসব কোম্পানি এমন ওষুধগুলো তৈরি করবে, সেসব রোগের ওষুধ বাজারে পাওয়া যায় না। এরকম অল্পকিছু রোগ আছে, যেগুলো খরচ না পোষানোর কারণে তৈরি হয় না। সামাজিক ব্যবসার মাধ্যমে সেগুলো করতে পারলে সবকিছুই সম্ভব।’

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘বাংলাদেশে আমরা একটা নার্সিং কলেজ করেছি। বাংলাদেশে নার্সের অনেক বড় সংকট আছে। আমরা ছোট্ট একটা প্রতিষ্ঠান করেছিলাম এখন সেটা অনেক বড় হয়েছে। আমি বলছি কারণ, আমরা নার্সের সমস্যা অনুধাবন করে নার্সিং কলেজ করেছিলাম। এখন বাইরের অনেক প্রতিষ্ঠান মানসম্পন্ন নার্সের খোঁজ এখানে করে। কারণ আমরা তাদের বিশ্বমানের শিক্ষা দিতে পেরেছি। আমাদের নার্সের প্রথম নিয়োগকর্তা এসেছিল যুক্তরাজ্য থেকে। এখন জাপানও আমাদের কাছে নার্স চায়।’

তিনি বলেন, ‘জাপানের দুর্ভাগ্য যে সেখানে বয়স্কদের সেবা করার মানুষ নেই, বাংলাদেশ সৌভাগ্যবান কারণ তার ব্যাপক সংখ্যক তরুণ জনগোষ্ঠী আছে। বাংলাদেশের জনসংখ্যার অর্ধেকের বয়স ২৬ এর নিচে। তারা খুবই মেধাবী তরুণ প্রজন্ম। তাদের যেকোনও কাজ দিন, তারা করবে। এই সুযোগ আমাদের আছে যে আমরা পুরো স্বাস্থ্য খাতকে ঢেলে সাজাতে পারি।’  

Share This Article