আজিজ আহমেদ, নোয়াখালী প্রতিনিধি:
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম মেসেঞ্জারে সামাজিক ও মানবিক সংগঠন প্রতিবাদী কন্ঠের বিরুদ্ধে দেশ-বিদেশে ভিডিও ছড়িয়ে দিয়ে অপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে আরেকটি সংগঠনের কিছু অসাধু চক্র।
সোনাইমুড়ী মানব কল্যান ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহিম, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ফারুক, সহ অজ্ঞ্যাত কিছু চক্র দুর্ঘটনায় স্বীকার হওয়া জিদানকে আর্থিক সহয়তা প্রদানকে কেন্দ্র করে হিংসাত্মক মনোভাব নিয়ে ও সংগঠনের অগ্রগতি দেখে এই অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। ভিডিওতে সভাপতি আবুল খায়ের কেও উপস্থিত থাকতে দেখা যায়।
ওই ভিডিওতে দেখা যায় জসিম উদ্দিনকে ডেকে এনে প্রকাশ্যে প্রতিবাদী কন্ঠ সংগঠনের বিরুদ্ধে তাদেরকে কথা বলতে দেখা যায়। পাশাপাশি জসিম উদ্দিনকে তারা এক প্রকার জিম্মি করে টাকার লোভ দেখিয়ে তার হাতে কিছু টাকা ধরিয়ে দিয়ে উক্ত সংগঠন ও প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আজিম মিয়াকে হেনস্তা এবং অনুদান দেওয়ার বিষয়কে মিথ্যা প্রমান করতে বলা হয়। ভিডিওর এক সময় জসিম উদ্দিন অনুদান দেওয়া বিষয়টি অস্বীকার ও মিথ্যা বলেন।
ভিডিও প্রকাশের পর উক্ত সংগঠনের সভাপতি হাজী মোহাম্মদ আজিম মিয়া ঢাকা থেকে নোয়াখালী এসে নাটেশ্বর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কবির হোসেন খোকন, সংগঠনের আজীবন সদস্য মোহাম্মদ রোহান ও প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া সম্পাদক আজিজ আহমেদ কে সাথে নিয়ে জিদানের বাড়িতে গিয়ে জসিম উদ্দিনের সাথে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন, আবদুর রহিম ও ফারুক তাকে ডেকে নিয়ে অনুদানের কথাটি মিথ্যা বলতে বাধ্য করে ও সভাপতি ও সংগঠনকে হেনস্তা করার উদ্দ্যেশ্যে এইসব কথা বলেন। এক সময় তার কাছে সংগঠনের সদস্য আজিজ আহমেদ জানতে চাইলে কেনো সংগঠনের নামে এইসব কথা বললেন জিজ্ঞেসা করলে সেটার কোন সদউত্তর দিতে পারে নি তিনি। এরপর তাকে সংগঠনের নামে ভুলভাল বুজিয়ে, সভাপতি আজিম মিয়াকে সবার কাছে প্রতারিত করার উদ্দ্যেশ্যে ভিডিও প্রকাশ করেন, বিষয় টি বুজতে পেরে এইজন্য জসিম উদ্দিন সবার কাছে ক্ষমা চেয়েছেন।
এই বিষয় সোনাইমুড়ী মানব কল্যান ফাউন্ডেশনের থেকে জানতে চাইলে উক্ত সংগঠনের নাম না প্রকাশে কিছু সদস্য বলেন, তারা সবসময় হিসাংত্নক মনোভাব নিয়ে চলেন, কারো উন্নতি বা ভালো দেখতে চায় না, নিজস্ব সংগঠনের মধ্যেও তারা বিতর্কিত। এইজন্য তারাও লজ্জিত।
উল্লেখ্য, নোয়াখালী সোনাইমুড়ি উপজেলার বজরা ইউনিয়নের নজরপুর গ্রামের হতদরিদ্র আব্দুল করিমের ছেলে জিদান। বাড়ির সামনের রাস্তায় ব্যাটারি চালিত অটোরিকশায় সাথে ধাক্কা লেগে দুর্ঘটনার স্বীকার হয়। এতে মাথা পেটে প্রচুর রক্ত ক্ষরনে নোয়াখালীতে চিকিৎসা করাতে না পেরে দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়।
তাই খবর পেয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে
ছুটে যায় প্রতিবাদী কন্ঠ সামাজিক ও অরাজনৈতিক সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হাজী মো. আজিম মিয়া ও সংগঠনের অন্যান্য সদস্যারা। চিকিৎসার জন্য আর্থিক অনুদান তুলে দেন জিদানের বাবা আব্দুল করিমের হাতে।
প্রতিবাদী কন্ঠের আজীবন সদস্য ও পরিচালনা কমিটির সকল সদস্য বৃন্দরা এই অসামাজিক ও অমানবিক কাজের জন্য তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ বিরাজ করছে। তারা জানায়, ভবিষ্যতে কেও এই রকম মিথ্যা কার্যকলাপে জড়িত থাকলে আইনানুগ ব্যবস্থা সহ জড়ালো পদক্ষেপ নেওয়া হবে এবং মেসেঞ্জারে মিথ্যাচার ও হেনস্তা করায় তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন সংগঠনের সকল সদস্য বৃন্দরা।